শেষ আপডেট: 11 March 2023 07:43
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক বরাবরই গরম। সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ মানবাধিকার পরিষদেও সেই ছাপ পড়েছে। ক্রিকেট মাঠেও কার্যত যুদ্ধ চলে। কিন্তু বন্ধুত্ব কী আর কূটনীতি মেনে হয়? নাকি তাতে বিদেশনীতির প্রভাব থাকে! ভারতীয় (Indian) স্নেহা বিশ্বাসের সঙ্গে ইসলামাবাদের (Pakistani Woman) তরুণীর বন্ধুত্ব ভেঙে দিয়েছে কাঁটাতার।
নাম স্নেহা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে তাঁর প্রথম দিন কীভাবে একজন পাকিস্তানি মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয়। তারপর সেই পরিচয় গড়ায় নিবিড় বন্ধুত্বে(Best Friend)।
সোশ্যাল ওয়ালে স্নেহা লিখেছেন, ভারতের একটি ছোট শহরে তাঁর শৈশব কেটেছিল। পাকিস্তান সম্পর্কে তাঁর জ্ঞান ক্রিকেট, ইতিহাসের বই এবং সংবাদমাধ্যমের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। পাকিস্তান মানেই শত্রু, যুদ্ধ, কাশ্মীর নিয়ে দ্বন্দ্ব—এটাই গেঁথে গিয়েছিল তাঁর মাথায়। ইসলামাবাদের তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্বের পর তিনি লিখেছেন, ‘একটা দেশ নিয়ে আমাদের চারপাশে কেবল ঘৃণা ছড়ানো হয়। কিন্তু ভাল দিকটা আমরা দেখি না।’
হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে প্রথম দিনে পাকিস্তানি বন্ধুর সঙ্গে দেখা হওয়ার পর স্নেহাদের পাঁচ সেকেন্ড সময় লেগেছিল বন্ধুত্ব গড়ে উঠতে। প্রথম সেমিস্টারের পর তাঁরা বেস্টফ্রেন্ড হয়ে যান। রক্ষণশীল সমাজে বেড়ে ওঠা সত্ত্বেও কীভাবে তাঁর বন্ধু স্বপ্ন দেখেছেন, স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করেছেন সেকথা উল্লেখ করে স্নেহা লিখেছেন, ওঁকে দেখে তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছেন।
স্নেহা লিখেছেন, 'মানুষের প্রতি ভালবাসা ভৌগলিক সীমানা মানে না। কারণ মানুষ মৌলিকভাবে, সর্বত্র একই রকম। আর সীমানা তো মানুষেরই সৃষ্টি। ভালবাসা দিয়ে সব ভাঙা যায়। মাথায় বিভেদের গল্প থাকলেও মন কি সবসময় সেসব মানে! ভালোবাসাই জীবনের মূল মন্ত্র হোক। ঘুচে যাক কাঁটাতার।’
প্রাতঃভ্রমণে বেরোনো চিকিৎসককে ধাক্কা মারল গাড়ি, শূন্যে উড়ে ছিটকে পড়লেন মাটিতে!