১৮ বছরের জাক ইয়াদেগারি, 'ক্যাল এআই'-এর সিইও
শেষ আপডেট: 4 April 2025 11:17
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হার্ভার্ড, প্রিন্সটন, ইয়েল, স্ট্যানফোর্ড, কলম্বিয়া- আমেরিকার (America) বিখ্যাত কিছু বিশ্ববিদ্যালয় (University)। এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই সেখানে অ্যাডমিশন নিতে গেলে গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজের (GPA) পাশাপাশি ইন্টারভিউ, আরও নানা পরীক্ষার মাধ্যমে বাছাইপর্বের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। তারপরে সফল হবে এইসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন। কিন্তু ভাল গ্রেড রয়েছে, স্বনির্ভর-সফল ব্যবসা থাকলেও যদি সেখান থেকে মেলে প্রত্যাখান!
এমনই এক ঘটনা ঘটেছে, ক্যালোরি ট্র্যাকিং অ্যাপ ‘ক্যাল এআই’-এর (Cal AI) প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও জাক ইয়াদেগারি (Zach Yadegari) প্রায় ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করলেও সবকটিতেই তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে গেছে।
১৮ বছরের এই উদ্যোগপতি ২০২৪ সালে ক্যাল এআই তৈরি করেন এবং ইতিমধ্যেই গুগল প্লে স্টোরে ৪.৭ এবং অ্যাপল স্টোরে ৪.৮ রেটিং পেয়েছে। কী এই অ্যাপ? ক্যাল এআই-এর মাধ্যমে কোনও খাবারের ছবি তুলে সেখানে আপলোড করলে, সেই খাবারে কত ক্যালোরি রয়েছে তার একটা ধারণা দিয়ে দেয় অ্যাপ ব্যবহারকারীকে। ফলে এই অ্যাপ রোজের ক্যালোরি ইনটেক মাপতে সাহায্য করে।
বছরে ৩০ মিলিয়ন রেকারিং রেভিনিউ আসে ‘ক্যাল এআই’ থেকে। আর শুধু জাকের সফল কেরিয়ারই শেষ কথা নয়, তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা বলছে, তিনি রীতিমতো ৪.০ গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজের অধিকারী। এইসব কিছুই তিনি বিস্তারিত শেয়ার করেছেন তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে (আগের নাম ‘টুইটার’)। ব্রাউন, কর্নেল পেনসিলভানিয়া ইউনিভার্সিটি, নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি, ডিউকও জাককে বাতিলের দলে ফেলে দিয়েছেন।
18 years old
— Zach Yadegari (@zach_yadegari) April 1, 2025
34 ACT
4.0 GPA
$30M ARR biz
Stanford ❌
MIT ❌
Harvard ❌
Yale ❌
WashU ❌
Columbia ❌
UPenn ❌
Princeton ❌
Duke ❌
USC ❌
Georgia Tech ✅
UVA ❌
NYU ❌
UT ✅
Vanderbilt ❌
Brown ❌
UMiami ✅
Cornell ❌
যদিও শেষ পর্যন্ত তিনি জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আমেরিকার বিখ্যাত ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়) এবং মায়ামি ইউনিভার্সিটিতে অ্যাডমিশন পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
এক্স ব্যবহারকারীদের অনেকেই জাকের এই প্রত্যাখানের কাহিনি শুনে অবাক হয়েছেন। তাঁরা বিশ্বাসই করতে পারছেন না জাকের আবেদন খারিজ হয়ে কী করে।
জাক এক্সে আরও জানিয়েছেন যে আগে তিনি ভাবতেন উচ্চশিক্ষার তেমন কোনও দরকার নেই। সাত বছর বয়স থেকে তিনি কোডিং করেন এবং মাত্র ১২ বছর বয়েসে তাঁর প্রথম অ্যাপ লঞ্চ হয়। সফল কেরিয়ার নিয়ে জাকের বিশেষ চিন্তা আগে কোনওদিনই ছিল না। কিন্তু পরে তাঁর মনে হয়, কলেজের সঙ্গে তো জানার পরিধির কোনও বিরোধ নেই। ‘শুধু কম্পিউটার নয়, জীবনের পথে এবার আমি প্রফেসার এবং বাকি পড়ুয়াদের থেকেও শিখতে চাই’, জাক ইয়েদাগারির বক্তব্য।
পোস্টে অনেক রকম কমেন্ট আসতে থাকে। সেখানেই, ‘আমি শুধু স্কিল চাইছি না, জীবনের সেরা চার বছরের অভিজ্ঞতাও সঞ্চয় করে নিতে চাই’- এমনই স্পষ্ট জবাব ১৮ বছরের ওই তরুণ উদ্যোগপতির।