
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দিনকয়েক আগে দিল্লির রোহিনীতে পথ দুর্ঘটনায় (road accident) জোম্যাটোর (zomato) ডেলিভারি পার্টনার (delivery partner) সলিল ত্রিপাঠির মর্মান্তিক মৃত্যুর (death) পর তাঁর পরিবারের কী হবে, পরিবারটি কি তীব্র সঙ্কটে অনিশ্চিত পরিণতির দিকে এগিয়ে যাবে, এহেন আশঙ্কা, উত্কণ্ঠার মধ্যেই ফুড ডেলিভারি কোম্পানির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (executive director) দীপিন্দর গোয়েল সলিলের পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিলেন। পরিবারটি যাতে চলতি পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারে, সেজন্য কোম্পানি তাদের সাহায্য করতে সম্ভাব্য সব সহায়তা দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন গোয়েল। জোম্যাটো টিম নিজেরা পরিবারটিকে সহায়তা করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
We are deeply aggrieved by the death of our delivery partner Salil Tripathi in an unfortunate road incident. We are extending all possible support to help the family get through this – pic.twitter.com/yJOUDsPpet
— Deepinder Goyal (@deepigoyal) January 13, 2022
‘মাতাল’ পুলিশ কনস্টেবলের গাড়ির ধাক্কায় গত ৯ জানুয়ারি পথ দুর্ঘটনায় মারা যান ত্রিপাঠি। ঘটনার রাত থেকে তাঁর পরিবারের পাশে হাসপাতালে জোম্যাটো টিম পড়ে আছে বলে জানা গিয়েছে। গোয়েল ট্যুইট করেছেন, দুর্ভাগ্যজনক পথ দুর্ঘটনায় আমাদের ডেলিভারি পার্টনার সলিল ত্রিপাঠীর মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত। পরিবারটিকে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্ভাব্য সবরকম সাহায্য করা হচ্ছে। ত্রিপাঠীর শেষকৃত্যের খরচ বহন করেছে কোম্পানি। আমরা পরিবারটিকে ১০ লাখ টাকা বিমার সাহায্য করছি। আগামী দিনে পরিবারটির আর যা যা সাহায্য দরকার হবে,আমরা সম্ভাব্য সব উপায়ে সাহায্য করে যাব। পরিবারটি শোকের কাল কেটে যাওয়ার পর সবরকম চেষ্টা করব যাতে সলিলের স্ত্রী সুচেতার একটা চাকরি (job) হয় (অবশ্য তিনি যদি চান, তবেই) যাতে তিনি সংসারটা চালাতে পারেন, ১০ বছরের ছেলের ভবিষ্যতের পড়াশোনার খরচ বহন করতে পারেন।
সহকর্মীর পরিবারের জন্য জোম্যাটো কর্মীরাও সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে ১২ লাখ টাকা তুলেছেন।
ত্রিপাঠী একসময় নিজে ছিলেন হোটেল মালিক। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণ, লকডাউনজনিত লকডাউনে হোটেল ব্যবসা মার খেতে শুরু করে। হোটেল ব্যবসায়ী ক্রমশঃ পরিণত হন খাবার বাড়ি বাড়ি লোকের দরজায় পৌঁছে দেওয়ার ডেলিভারি বয়ে। এর মধ্যে নিজের বাবা মারা যান কোভিড ১৯ এ। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিলেন ত্রিপাঠীই।
দেশের আর্থিক সঙ্কটে মার খাওয়া ভারতবাসীর প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে তাঁর মধ্যে।
দিনকয়েক আগে মাতাল অবস্থায় থাকা এক পুলিশ কনস্টেবলের গাড়ি সোজা ধাক্কা মারে ত্রিপাঠীর বাইকে। রোহিনীর বৌদ্ধ বিহারের ঘটনা। পরে মহেন্দ্র নামে অভিযুক্ত পুলিশকর্মী গ্রেফতার হন।