
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ‘এ ব্যথা কী যে ব্যথা, বোঝে কি আনজনে…’
পিরিয়ডের ব্যথায় কাহিল হয়ে ম্যাচেই হেরে বসলেন চিনের টেনিস তারকা ছিনওয়েং জাং। খেলা শেষে তাঁর কাতর আক্ষেপ যেন ছুঁয়ে গেল সমস্ত মেয়ের মন (Zheng Qinwen Period Pain)। তিনি বললেন, ‘কেন যে ছেলে হয়ে জন্মালাম না…’
আরও পড়ুন: ‘যৌনবৃত্তি বৈধ পেশা’, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের এবার গাইডলাইন দাবি সোনাগাছির
ফরাসি ওপেনে খেলতে নেমেছিলেন ছিনওয়েং জাং। ১৯ বছরের তরুণীর ঋতুস্রাব চলছিল। তাঁইউওকর জেরেই পেটে অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছিল তাঁর। কিন্তু খেলা তো আর সেকথা শুনে থেমে থাকবে না (Zheng Qinwen Period Pain)। খেলা চলাকালীন তলপেটের যন্ত্রণায় তরুণী এতটাই কাহিল হয়ে পড়েছিলেন যে বেশ কিছুক্ষণ তাঁকে বিশ্রাম নিয়ে হয়। শুরু থেকেই খেলতে সমস্যা হচ্ছিল তাঁর। শেষমেশ ম্যাচটি হেরেই যান ছিনওয়েং জাং।
ছিনওয়েংয়ের বিপরীতে খেলতে নেমেছিলেন পোল্যান্ডের ইগা জিনটেক (Zheng Qinwen Period Pain)। তাঁর কাছেই ম্যাচ হারেন চিনা তারকা। পেটে হাত দিয়ে বসে পড়েন তিনি। আক্ষেপ ঝরে পড়ে তাঁর চোখে-মুখে। যন্ত্রণাবিকৃত মুখে ছিনওয়েং বলে ওঠেন, কেন যে আমি ছেলে হয়ে জন্মালাম না!
পিরিয়ড বা ঋতুস্রাব মেয়েদের স্বাভাবিক একটি শারীরিক প্রক্রিয়া। প্রতি মাসেই চার-পাঁচ দিন ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় তাঁদের। পিরিয়ড চলাকালীন যন্ত্রণা কমবেশি সব মেয়েরই হয়। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে যন্ত্রণা হয় মাত্রাতিরিক্ত। কেউ ওষুধ খেয়ে ব্যথা কমানোর চেষ্টা করেন। কেউ আবার দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করেন সেই যন্ত্রণা। চিনা তরুণীর অন্য কোনও উপায় ছিল না। ম্যাচ খেলতে নামতেই হয়েছিল তাঁকে। আর তারপরেই তাঁর উপলব্ধি, ছেলে হয়ে জন্মালে এভাবে ম্যাচটা হেরে যেতে হত না। এদিন পোল্যান্ডের কাছে ফরাসি ওপেনের ম্যাচে ৬-৭(৫) ৬-০ ৬-২ সেটে হেরে গেছে চিন।