
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অপরাধ যতই গর্হিত হোক, অপরাধীর বয়স মাথায় রাখতে হবে, সম্প্রতি এমটাই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের (SC)। ধর্ষণ বা খুনের মতো মারাত্মক অপরাধ করলেও কমবয়সি অপরাধীকে দেওয়া যাবে না মৃত্যুদণ্ড। সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি হবে যাবজ্জীবন কারাবাস।
উত্তরাখণ্ডের পাহাড় কেটে চারধাম প্রজেক্ট, পরিবেশবিদদের মামলায় চিনের যুক্তি দিচ্ছে কেন্দ্র
একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই শীর্ষ আদালতের এই পর্যবেক্ষণ এসেছে। ৫ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। সেখানেই শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, এল নাগেশ্বর রাও এবং বিআর গাওয়াইয়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, বয়স মাথায় রাখা দরকার। ওই অপরাধীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা বদলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড করে দেওয়া হয়েছে।
গত ৪০ বছরে সুপ্রিম কোর্টে আসা ৬৭ টি মামলার উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, এই আদালতে এর আগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার সময় অপরাধীর কম বয়সকে একমাত্র জরুরি কারণ হিসবে ভাবা হয়নি, পরিসখ্যান তাই বলছে। যদি তাই হত, তবে ৬৭টি মামলাতেই অপরাধীকে মৃত্যুর বিধান দেওয়া হত।
এই ৬৭টি মামলার মধ্যে ৫১টিতেই অপরাধীর বয়স ছিল ১২ বছরের নীচে। তার মধ্যে ১২টি মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তারপর আবার ৩টি মামলায় সেই চূড়ান্ত সাজা বদলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড করে দেওয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক মামলায় অপরাধী কর্ণাটকের ইরাপ্পা সিদাপ্পা মুরগান্নাভার। বিচারপতি বলেছেন, তিনি নিশ্চিতভাবেই মারাত্মক অপরাধ করেছেন, কিন্তু যাবজ্জীবন কারাদণ্ডই তাঁর উপযুক্ত শাস্তি। এতে কৃতকর্মের জন্য তিনি অনুতপ্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন। অপরাধের সময় তাঁর বয়স ছিল ২৩-কি ২৪। অত্যন্ত গরিব পরিবার থেকেই তিনি উঠে এসেছেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে তিনি অনুতাপের সুযোগ পাবেন, পাবেন নিজেকে শুধরে নেওয়ার সুযোগ।
কর্ণাটক হাইকোর্ট থেকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছিল এই অপরাধীকে। এদিন সেই রায়ের বিরোধিতা করেছে সুপ্রিম কোর্ট।