
দ্য ওয়াল ব্যুরো : রাজস্থানে ভোটের প্রচার করতে গিয়ে হনুমানের ভক্তদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাঁকে হনুমানের ভক্তরা এক নোটিস পাঠিয়ে বলেছে, তাদের উপাস্য দেবতাকে নিয়ে ‘অসম্মানজনক’ মন্তব্যের জন্য তিন দিনের মধ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। যদিও বিজেপির দাবি, যোগীর বক্তব্য বিকৃতভাবে পৌঁছেছে হনুমানের ভক্তদের কাছে। তাই তারা রেগে গিয়েছে।
আগামী ৭ ডিসেম্বর রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন হবে। সেখানে ভোটের প্রচারে গিয়ে যোগী বলেন, বজরংবলী এমন এক দেবতা, যিনি বনবাসী। যিনি প্রত্যেককে সঙ্গে নেন। দলিত, পিছিয়ে পড়া মানুষ, সবাই তাঁর সঙ্গী। পূর্ব থেকে পশ্চিম, উত্তর থেকে দক্ষিণ, সবাইকে তিনি ঐক্যবদ্ধ করেন। আপনারা বজরংবলীর নামে প্রতিজ্ঞা করুন, বিজেপিকে ভোট দেবেন।
দক্ষিণপন্থী হিন্দু গোষ্ঠী ‘রাজস্থান সর্ব ব্রাহ্মণ মহাসভা’ যোগীকে আইনি নোটিস পাঠিয়ে বলেছে, তিনি হনুমানের জাতপাতের কথা বলে ভোট চাইছেন। কিন্তু যোগীর অনুগামীরা বলেছেন, তাঁর ভাষণটি যেভাবে ব্রাহ্মণ মহাসভার কাছে পৌঁছেছে তাতে মনে হয়, তিনি বলেছেন, বজরংবলী এমন একজন দেবতা যিনি বনে থাকেন, পাহাড়েও থাকেন, নিজে একজন দলিত, পিছিয়ে পড়া…।
নোটিসে ব্রাহ্মণ মহাসভার নেতা সুরেশ মেহতা বলেছেন, যোগীর মন্তব্যে হনুমান ভক্তদের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। তিনি পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হনুমানের নাম নিয়েছেন।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে নতুন করে রামমন্দির বিতর্ক মাথা চাড়া দিয়েছে দেশ জুড়ে। সঙ্ঘ পরিবার বিজেপির ওপরে চাপ বাড়াচ্ছে যাতে অযোধ্যায় মন্দির নির্মাণে অর্ডিন্যান্স আনা হয়। এই অবস্থায় যোগীর মন্তব্যে দক্ষিণপন্থীরা অসন্তুষ্ট হলে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটে বিজেপির সমস্যা হবে বলেই পর্যবেক্ষকদের ধারণা।
এর আগে বজরংবলীর নাম করে মধ্যপ্রদেশে বিতর্কে জড়িয়েছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কমলনাথ। বিতর্ক তুলেছিলেন যোগী স্বয়ং।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কমলনাথ মুসলিম নেতাদের উদ্দেশে বলেছেন, আলি আপনাদেরই থাকুন, আমাদের পক্ষে বজরংবলীই যথেষ্ট। আপনাদের ৯০ শতাংশ ভোট যেন কংগ্রেসই পায়।
যোগী ওই ভিডিও দেখে অভিযোগ করেছিলেন, কমলনাথ ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। অন্যদিকে কংগ্রেস বলে, মুসলমানরা ব্যাপক সংখ্যায় ভোট দিন, একথা বলার মধ্যে ভুল কিছু নেই। যোগী ওই সাফাইয়ে সন্তুষ্ট হননি। গত শনিবারই ভোপালে এক জনসভায় তিনি বলেন, আমি কিছুদিন আগে কমলনাথজির এক বিবৃতিতে পড়লাম, কংগ্রেসের নাকি তফসিলী জাতি-উপজাতিদের ভোট দরকার নেই। তারা মুসলমানদের ভোট পেলেই সন্তুষ্ট।