
দ্য ওয়াল ব্যুরো, জলপাইগুড়ি: বিশ্বকর্মা পুজোর (Vishwakarma Puja) দিন তাঁর বাহন হাতির (elephant) পুজো হল গরুমারা জাতীয় উদ্যানে (Gorumara National Park)। বনকর্মীদের সঙ্গে এই পুজোয় সামিল হলেন বনবস্তির বাসিন্দা এবং সেখানে ঘুরতে আসা অন্যান্য পর্যটকরা। শনিবার গরুমারা জাতীয় উদ্যানে মোট ২৫টি কুনকি হাতিকে পুজো করলেন তাঁরা।
বর্ষণ, মতিরানি, চম্পা, ফাল্গুনী, যুবরাজ, রাজা, আমনদের মালা পরিয়ে, নকশা এঁকে সাজিয়ে পুজো করলেন মাহুত ও বনকর্মীরা। প্রতিবছরই ডুয়ার্সের (Dooars) গরুমারা, ধূপঝোড়া, মেদলায় হাতি পুজো হয়। এবারও তার অন্যথা হয়নি। পিলখানাগুলোতে এবার তাদের পুজোর পাশাপাশি আয়োজন করা হয়েছিল স্পেশ্যাল মেনুরও। আর সেই পুজো দেখতেই ভিড় জমিয়েছিলেন পর্যটকরা।
পুজো উপলক্ষে শনিবার সকাল থেকেই ধূপঝোড়া, গরুমারা ও মেদলার কুনকি হাতিদের নিয়ে মাহুতদের ব্যস্ততা ছিল চরমে। কুনকি হাতিগুলিকে প্রথমে মূর্তি নদীতে ভাল করে স্নান করিয়ে মাথা থেকে শুঁড় অবধি নকশা এঁকে সাজানো হয়। এরপর প্রতিটি হাতির গায়ে লিখে দেওয়া হয় তাদের নাম। সবশেষে নিয়ে আসা হয় পুজো মণ্ডপে। শাঁখ বাজিয়ে, উলুধ্বনি দিয়ে চলে পুজো। পুরোহিত সমস্ত নিয়মনীতি মেনে, মন্ত্রোচ্চারণ করে পুজোর কাজ সারেন।
ভারী বৃষ্টিতে বিপজ্জনকভাবে বইছে নদীর জল! বিচ্ছিন্ন জলপাইগুড়ির একাধিক এলাকা
শনিবার সকাল থেকেই এই হাতি পুজো দেখতে পর্যটকদের ভিড় জমেছিল গরুমারা, ধূপঝোড়ার মতো অভয়ারণ্যগুলিতে। পর্যটকদের পাশাপাশি আশেপাশে গ্রামের মানুষজনও প্রতিবছর এই বিশেষ দিনটিতে হাতি পুজো দেখতে চলে আসেন পিলখানায়। তাঁদের ভিড়ে রীতিমতো জমজমাট হয়ে ওঠে পিলখানাগুলি।
ধূপঝোরা এলিফ্যান্ট ক্যাম্পের পিলখানায় কুনকি হাতিদের মহাকাল বলে বিশ্বকর্মার বাহন হিসেবে পুজো করা হয়। সারাবছর এই কুনকি হাতিদের নিয়েই বনকর্মীদের জঙ্গলে একাধিক কাজ করতে হয়। শুধুমাত্র বনকর্মীরাই নন, হাতিকে ডুয়ার্সের জঙ্গল সংলগ্ন এলাকার মানুষ মহাকাল বলেও দীর্ঘদিন ধরে পুজো করে আসছেন। এই কুনকি হাতিদের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি যাঁরা সময় কাটান, তাঁরা হলেন বনবিভাগের মাহুতরা। কাজেই এই পুজোতে মাহুত ভাইরাও বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে থাকেন।