
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারত-পাকিস্তান ঠান্ডা যুদ্ধ চলছেই। সিন্ধু নদের (Sindhu River) জলবন্টন নিয়ে দুই দেশের টানাপড়েন দীর্ঘদিনের। ১৯৬০ সালে তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ আয়ুব খানের উপস্থিতিতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Water Treaty) স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু এরপরেও বিরোধ মেটেনি। পাকিস্তান চেয়েছে এই চুক্তিতে মধ্যস্থতা করুক বিশ্ব ব্যাঙ্ক (World Bank) যাতে নীতিগতভাবে একেবারেই সম্মত নয় ভারত। এরই কড়া প্রতিক্রিয়ায় ভারত জানিয়েছে, সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা কখনওই মেনে নেওয়া হবে না।
দীর্ঘ সময়ের বিরোধ মেটাতে ১৯৬০ সালে বিশ্ব ব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় সিন্ধু জলচুক্তি (Indus Water Treaty) সই করে ভারত ও পাকিস্তান। চুক্তি অনুযায়ী, বিতস্তা ও চন্দ্রভাগার জলের উপরে পাকিস্তানের অধিকার ৮০ শতাংশ, ভারতের ২০ শতাংশ। ভারত ওই জল ব্যবহার করলেও তা আটকাতে পারবে না, এই শর্তও ছিল চুক্তিতে। কিন্তু ২০১৫ সালে ভারতের কিষেণগঙ্গা এবং রাতলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে আপত্তি তোলে পাকিস্তান। তাতে তাদের ভাগের জল কমে যাবে বলে দাবি করে ইসলামাবাদ। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, সিন্ধু জল চুক্তি মেনেই প্রকল্পে নির্দিষ্ট পরিমাণ জল ব্যবহার করবে ভারত। কিন্তু তাতে কান দেয়নি ইসলামাবাদ।

এরপরেই পাকিস্তান সালিশি করার জন্য বিশ্ব ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ হয়। ‘নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ’ হিসাবে পুরোটা খতিয়ে দেখার জন্য বিশ্ব ব্যাঙ্কের কাছে তখন আবেদন করে পাকিস্তান সরকার। ভারত এই তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতায় রাজি হয়নি। ২০১৬ সালে হঠাৎই পাকিস্তান ফের নতুন করে দাবি তুলতে শুরু করে। তারা একটি সালিশি আদালত বসানোর দাবি তোলে। সিন্ধু জল চুক্তি পুনর্বিবেচনা করার দাবিও জানায়। গত সপ্তাহেই ভারত তার সাপেক্ষে নোটিস পাঠায়। এরপরই বিশ্ব ব্যাঙ্কের তরফে দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, সিন্ধু জলচুক্তি (Indus Water Treaty) নিয়ে পাকিস্তান যে পুনর্বিবেচনার দাবি জানায়, তার সাপেক্ষে ভারতও যথাযথ পদক্ষেপ করেছে। কিন্তু সালিশি আদালত নিয়ে ভারতের তীব্র আপত্তি রয়েছে। যদিও বিশ্ব ব্যাঙ্ক সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে কী ভাবছে বা তাদের প্রতিক্রিয়া কী সে ব্যাপার এখনও কিছু জানা যায়নি।
আদানির সম্পত্তি জাতীয়করণ করে নিলামে তুলুন: মোদীকে পরামর্শ বিজেপি নেতার