
লাদাখ সীমান্তে যে উত্তেজনা চলছে তা স্তিমিত করতে ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা চালাচ্ছে দুই দেশ। গত জুলাই মাস থেকে ইতিমধ্যেই আট বার দুই সেনাবাহিনীর কম্যান্ডর স্তরের বৈঠক হয়েছে। শেষ বার বৈঠক হয়েছে ৬ নভেম্বর। কয়েক দিনের মধ্যে ফের এক দফা আলোচনা হওয়ার কথা। তার আগে বেজিংয়ের প্রতিনিধির এই মন্তব্য কূটনৈতিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনইং বলেছেন, “প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা প্রশমিত করতে ভারত এবং চিনের মধ্যে কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে আলোচনা চলছে। আমরা আশা করি কয়েক দিনের মধ্যে ফের একবার সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা সম্ভব হবে।”
প্রায় ৫০ হাজার ভারতীয় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা-সহ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা জুড়ে। অন্যদিকে চিনও প্রায় সমপরিমান লালফৌজ মোতায়েন করে রেখেছে।
জুন মাসে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের ঘটনা ঘটেছিল লাদাখে। পর্যবেক্ষকদের মতে, ১৯৬২ সালের পর চিনের এমন বীভৎস আগ্রাসী রূপ গত প্রায় ছ’দশকে দেখা যায়নি। চিনা বাহিনীর হানায় মৃত্যু হয়েছিল ২০ জন ভারতীয় সেনার।
তারপর চিনকে অর্থনৈতিক ভাবে জব্দ করতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে কয়েক ডজন চিনা অ্যাপ। তারপরও সীমান্তের উত্তেজনা একেবারে থামেনি। বরং বারুদের স্তূপ মজুত হয়ে রয়েছে বলেই মত অনেকের। এই পরিস্থিতিতে উত্তেজনা কমাতে নতুন বার্তা দিল চিন।