Latest News

বুকের খাঁজে ক্যামেরা, বড় এক লক্ষ্য নিয়ে নজর রাখছেন হুইটনি

দ্য ওয়াল ব্যুরো: ” কে দেখছে আমার স্তনের দিকে?  ফিরে ফিরে চাইছে কারা?” পরীক্ষা চালাতে ব্রা-এর ভিতরেই গোপন ক্যামেরা নিয়ে ঘুরছেন হুইটনি জেলিগ। ক্য়ামেরায় বন্দি ভিডিও দেখে তাজ্জব হয়েছেন তিনি নিজেও। তবে হুইটনির এই আজব কাণ্ডের পিছনে কিন্তু এটাই একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। তাঁর লক্ষ্য আরও বৃহত্তর। বিশ্বের সমস্ত মহিলাদের কাছে তিনি একটা বার্তা দিতে চেয়েছেন।

হুইটনির কথায়, “আমি অবাক হয়েছি দেখে যে শুধু পুরুষ নয়, মহিলারাও একে অপরের স্তনের দিকে ফিরে ফিরে চায়। কিন্তু নিজেদের ব্যাপারে তারা উদাসীন। মহিলারা সচেতন হও। নিজের শরীর নিয়ে আরও বেশি সতর্ক হও। স্তন ক্যানসার রুখতে সচেতনতা সবচেয়ে আগে দরকার।”

নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা হুইটনির মা স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত। এই গোপন ক্য়ামেরা নিয়ে ঘোরার মূল উদ্দেশ্য মহিলাদের স্তন ক্যানসার নিয়ে সচেতন করা, জানিয়েছেন হুইটনি।

তাঁর কথায়, গত আট-ন’বছরের মধ্যে গোটা বিশ্বেই থাবা বসিয়েছে স্তন ক্যানসার। প্রমাদ গুনছেন উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরাও।

নিজের স্তনের গঠন এবং তাতে ক্রমাগত পরিবর্তন লক্ষ্য রাখেন ক’জন মহিলা? বিশ্বের সমস্ত মহিলাদের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন হুইটনি। বলেছেন,  শরীরের এই বিশেষ অঙ্গটির পরিচর্যার দিকে নজর রাখেন না অনেকেই। আবার নজরে পড়লেও লজ্জা ও সংকোচের জন্য সেটা লুকিয়ে যান অধিকাংশ মহিলা। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্তন ক্যানসার সম্পর্কে অজ্ঞতা, স্তন নিয়ে অহেতুক স্পর্শকাতর হওয়া, লজ্জা পাওয়া এবং ‘সেল্ফ এগজামিনেশন’ বা নিজেই নিজের স্তন কী ভাবে পরীক্ষা করা যায়, সে সম্পর্কে ধারণা না-থাকার জন্য এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

হু-র একটি সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৯৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত শুধুমাত্র ভারতে স্তন ক্যানসারে ৮২ শতাংশ মৃত্যু বেড়েছে। যার মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে মহিলাদের সংখ্যাটাই বেশি। ১৮ বছরের পর থেকে প্রত্যেক মহিলাকেই মাসে অন্তত একদিন সেল্ফ এগজামিনেশন করতে বলেন চিকিৎসকরা। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেই নিজের স্তন পরীক্ষা করাটা একান্তই বাঞ্ছনীয়। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে স্তন ক্যানসার নিরাময় সম্ভব বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু বেশির ভাগ মহিলাই তা করেন না। ফলে ক্যানসার ধরা পড়ে অনেক দেরিতে।

স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, অপেক্ষাকৃত অল্পবয়সীদের মধ্যে থাবা বসাচ্ছে এই রোগ। যাঁদের বয়স ২৫-৫০। বর্তমান লাইস্টাইল, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, অতিরিক্ত নেশার প্রকোপ নানা কারণেই ক্যানসারের প্রচলিত ওষুধ অনেক ক্ষেত্রেই কার্যহীন হযে পড়ছে। এমনও দেখা গেছে, প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ ধরা পড়লেও কয়েক মাসের মধ্যে হুহু করে সেটা বেড়ে গিয়ে স্টেজ ফোরে পৌঁছে যাচ্ছে। উন্নতমানের কেমোথেরাপিও রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। এক বার রোগ সেরে যাওয়ার কয়েক বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার ক্যানসারের কবলে পড়েছেন এমন উদাহরণ অজস্র।

সুতরাং, প্রথম স্টেজে ধরা পড়লে স্তন ক্যানসার সম্পূর্ণ সেরে যাবে, এই ধারণাও সব সব সঠিক প্রমাণিত হচ্ছে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম তথ্য অনুযায়ী, ভারতে ৭-৮ বছর আগেও এই ধরনের স্তন ক্যানসার হতো মোট স্তন ক্যানসার-আক্রান্তদের ১০-১৫ শতাংশের। এখন যা দাঁড়িয়েছে ৩১-৪০ শতাংশ। চিকিৎসাশাস্ত্রে এর নাম ‘ট্রিপল নেগেটিভ ব্রেস্ট ক্যানসার।

আরও পড়ুন:

https://www.four.suk.1wp.in/23-10-2018-lifestyle-health-a-mexican-student-designs-app-specific-eva-bra-to-detect-breast-cancer/

You might also like