
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রান্নাবান্না, কাপড় কাচা, ঘর পরিস্কারের মতো গৃহস্থালীর কাজ (household work) করলেই মহিলাদের (Woman) বাড়ির কাজের লোকের সঙ্গে এক করে দেখা হয় না। আবার সব কাজ মহিলাদের উপর চাপিয়ে দেওয়াও ঠিক নয়। সংসারের কাজ স্বামী-স্ত্রী, ভাই-বোন ভাগাভাগি করে করাই শ্রেয়।
সম্প্রতি একটি মামলায় বম্বে হাইকোর্টের (Bombay High Court) ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চ এই অভিমত প্রকাশ করেছে। সাংসারিক কাজ নিয়ে ওই আদালতে এক মহিলা অভিনব মামলা করেন। মামলায় তিনি দাবি করেন, সাংসারিক কাজ করা থেকে আদালত তাঁকে মুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করুক। শ্বশুরবাড়িতে তিনি নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।
তাঁর অভিযোগ, যে সব কাজ বাড়ির কাজের লোকের করার কথা শ্বশুরবাড়িতে সেই সব কাজ তাঁকে করতে হচ্ছে। রান্নাবান্না, কাপড় কাচা, ঘর পরিস্কারের মতো সব ধরনের কাজই তাঁকে করতে হয়। অথচ, বিয়ের (marriage) আগে এই সব কাজ করার কোনও অভিজ্ঞতা তাঁর ছিল না। শ্বশুরবাড়িতে বলেও কোনও সুরাহা হয়নি। উল্টে অশান্তি হচ্ছে। আদালত তাঁকে এই কাজ থেকে রেহাই দেওয়ার ব্যবস্থা করুক।
বম্বে হাইকোর্ট মামলার শুনানিতে নিশ্চিত হয় যে নিপীড়নের যে অভিযোগ মহিলা করেছেন তার কোনও ভিত্তি নেই। সংসাদের দৈনন্দিন কাজ করাকে নিপীড়ন বলা চলে না। ঘরের কাজ করা থেকে মুক্তি চেয়ে মহিলা যে আর্জি জানিয়েছেন, সে ব্যাপারে আদালতের বক্তব্য, মামলাকারীর অভিযোগ তাঁকে গৃহভৃত্যের সঙ্গে এক করে দেখা হচ্ছে। এই অভিযোগ নিছকই ভ্রান্ত ধারণা। বাড়ির কাজ করলে পরিচারক-পরিচারিকার সঙ্গে তুলনা করা হয় না। তবে আদালত মেনে নিয়েছে, স্বামীরও কাজ ভাগ করে নেওয়া উচিত।
সবশেষে আদালত দাম্পত্য জীবনকে অশান্তি মুক্ত রাখতে বলেছে, বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রীর পরিবারের মধ্যে আলোচনার সময়ই মহিলাদের স্পষ্ট করে দেওয়া উচিত বিয়ের পর তিনি সংসাদের দৈনন্দিন কাজ করবেন কী করবেন না। আদালত মনে করে রোজকার ঘরোয়া কাজ না করা নিয়ে বিয়ের পর আপত্তি তোলা মোটেই কাম্য নয়। তবে আদালত একই সঙ্গে বলেছে, কাজের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হলে তা অবশ্যই নিপীড়ন।
বম্বে হাইকোর্টের ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চের এই রায় নিয়ে পারিবারিক আদালত মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। পারিবারিক আদালত মহলের খবর, সেখানে অনেক মামলাই সাংসারিক কাজে মহিলাদের অনীহা সম্পর্কিত।
১২৬ বছরের শিবানন্দ বেঁচে আছেন শুধু সেদ্ধ খাবার খেয়ে! দানপুজোয় করেন দুস্থ-সেবা