
ক্রোয়েশিয়ার সাবোটিচা এলাকার এই ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে গেছেন সকলে।
পারিবারিক সূত্রের খবর, ওই ছাত্রী হারিয়ে যাওয়ার আগে তার বাবাকে জানিয়েছিলেন, তিনি ক্রুজে কাজ করতে চান। নিজের স্বপ্নের শহর প্যারিসে থাকতে চাওয়ার ইচ্ছার কথাও বাবাকে জানিয়েছিলেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০০০ সালে জেসমিনা ডমিনিকা নামের ওই ছাত্রী আচমকাই হারিয়ে যান এক দিন। তখন তাঁর বয়স ছিল ১৮ বছর। তাঁর দিদির বয়স তখন ছিল ২৩ বছর। জেসমিনা সেই সময় জাগ্রেবে পড়াশোনা করছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ দিন তার কোনো খোঁজ না পেলেও পুলিশে জানানো হয়নি। পরিবারের তরফে সকলে ভেবেছিলেন, জেসমিনা হয়তো নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে ক্রুজ়ে যোগ দিয়েছেন।
পাঁচ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কোনও খোঁজ না মেলায়, অবশেষে জেসমিনার পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু অনেক খুঁজেও জেসমিনার সন্ধান পায়নি পুলিশ। তবে হাল ছাড়েনি তারা। অবশেষে দীর্ঘ ১৯ বছর পর সেই তরুণীর দেহ পাওয়া গেল তারই দিদির ফ্রিজের ভিতরে!
পুলিশের ধারণা, জেসমিনাকে খুন করে ওই ফ্রিজের ভিতরে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। যদিও পোস্টমর্টেম রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত হয়ে কিছু বলতে রাজি হয়নি পুলিশ। দিদিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।