
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২০২০ সালে করোনা আছড়ে পড়ার পর থেকেই বহু অফিস চলে গিয়েছিল ওয়াক ফ্রম হোম (Work from Home) সংস্কৃতি। সেইসময় বিশ্বজুড়ে কোম্পানির মালিকরা দেখতে পান, এই কালচারে খরচ অনেক কমছে। অফিসের বিদ্যুৎ বিল থেকে যাতায়াতের খরচ সবেতেই রাশ টানা গিয়েছিল। সেইসঙ্গে বেড়েছিল কাজের গতিও। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসার পর থেকেই ফের কোম্পানিগুলি তাদের কর্মীদের অফিসে যেতে বলে। তবে বিশ্বজুড়ে বেশকিছু কোম্পানি রয়েছে যারা এখনও কাজ করছে ওয়াক ফ্রম হোম পদ্ধতিতেই। তেমনই এক কোম্পানির মালিকদের কাছে মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দঁড়িয়েছে, তাদের কর্মীরাই। অভিযোগ, বাড়িতে থেকেও সঠিক সময়ে কাজ করছে না, এমনকী কাজের শিফটে অন্য কাজ বেশি করছে।
ব্রিটিশ-কলম্বিয়া ভিত্তিক সেই কোম্পানির এক মহিলা কর্মী চাকরি খোয়ালেন বাড়ি থেকে সঠিক সময়ে কাজ না করার অভিযোগে। তবে ওই মহিলা পাল্টা ওই সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির থেকে ৩ লাখ টাকা দাবি করেছেন!
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কার্লি বেসে নামে এক মহিলার বিরুদ্ধে কাজের সময় নষ্ট করার অভিযোগ ওঠে। অফিসিলায় সময়ে অন্য কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন কারলি, এমন অভিযোগ ওঠে। কিন্তু কীভাবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারল বাড়ি থেকে বসে তাদের কর্মী সময় অপচয় করছেন?
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এই অফিসিয়াল সময়ে গাফিলতির অভিযোগ উঠছিল। সেইসময় কর্তৃপক্ষ ‘টাইমক্যাম্প’ (TimeCamp) নামে একটি সফটওয়্যারের সাহায্য নেয় তাদের কর্মীদের ওপর নজরদারি চালানোর জন্য। কী করে এই সফটওয়ারটি? এটি কর্মীদের কাজের সময়ে তাঁদের কার্যক্রম মনিটরিং করে।
কোম্পানির তরফে জানানো হয়, কার্লি সপ্তাহে তাঁর ৫০ ঘণ্টা কাজের সময়ের বেশিভাগটাই নষ্ট করতেন। তাই তাঁকে বরখাস্ত করা হচ্ছে। এদিকে, কোনও নোটিস ছাড়াই ছাঁটাইয়ের ফলে কার্লি তাঁর বেতন সহ কোম্পানির থেকে ৩ লাখ টাকা দাবি করেন। পাশাপাশি, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করে কার্লি বলেন, যে সফটওয়ারের মাধ্যমে তাঁর কার্যক্রম মাপা হয়েছে তা ঠিক নয়। ওই সফটওয়ারটি কাজের সময় ও ব্যক্তিগত সময়ের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না। এই নিয়ে আদালতে যান ওই মহিলা। আদালত, মহিলার দাবি মতো টাকা দেওয়ার জন্য তাঁর নিয়োগকর্তাকে বলে।
পুলিশের জলকামানে শ্যাম্পু মেখে স্নান করলেন বিক্ষোভকারী! ফেনায় প্রতিবাদ রাজপথে