
স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পক্ষে রায় দিয়েছেন পঞ্চাশ শতাংশ মানুষ। বাকি ৫০ শতাংশ এখনই স্কুল-কলেজ না খোলার পক্ষেই। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এখনও উদ্বেগ তারা। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুরা আক্রান্ত হতে পারে। আর এই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে বিপক্ষে গেছেন অনেকেই।
পূর্বেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, যদি করোনা পরিস্থিতি ঠিক থাকে বা তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা না থাকে তাহলে পুজোর ছুটির পর অর্থাৎ ভাইফোঁটার পর স্কুল কলেজ খোলার ভাবনা আছে। তার আগে মতামত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ হিরো আলম গাইলেন ‘মানিকে মাগে হিথে’, তুমুল ভাইরাল ভিডিও
সেই মাফিকই রাজ্যের বিভিন্ন মানুষের মধ্যে স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে মতামত চেয়ে সমীক্ষা চালায় সরকার। সেই তালিকায় যেমন আছে পড়ুয়ারা, তেমনই আছে শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষাবিদ সহ অনেকেই। সেই সমীক্ষার ফলেই দ্বিবিভক্ত রাজ্য।
প্রসঙ্গত, দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্য স্কুল-কলেজ খুলে দিয়েছে। পাঞ্জাব, দিল্লি, তেলেঙ্গানা, বিহার সহ একাধিক রাজ্যে চালু স্কুল-কলেজ। তবে স্কুল-কলেজ খুললেও সেখানে উপস্থিতির হার খুবই কম দেখা গেছে। এখনও মানুষের মধ্যে ভীতি কাজ করছে, যার ফলে স্কুল-কলেজকে এড়িয়ে চলছে অনেকেই।
উল্লেখ্য, বাংলাতে স্কুল-কলেজ খোলার পক্ষে দীর্ঘদিন ধরেই সওয়াল করছিলেন নানা মহল। অনলাইন ছেড়ে স্কুলের পঠন পাঠনের ওপর জোর দেওয়ার দাবি জানাচ্ছিল অনেকেই। তাঁদের দাবি ছিল, অন্য রাজ্য পারলে বাংলা নয় কেন? যেখানে নির্বাচন হতে পারে, মিটিং-মিছিল হতে পারে সেখানে স্কুল কলেজ খোলা হবে না কেন? রাজ্য সরকারও মতামত চায় সাধারণের কাছে। সেই মতামতের ফল এখন দ্বিবিভক্ত। এখন এটাই দেখার সরকার কি সিদ্ধান্ত নেয়।