
বিজেপি বিরোধিতায় কংগ্রেস যথেষ্ট আন্তরিক নয়, এই অভিযোগ তুলে বিভিন্ন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। আপাতত গোয়া এবং ত্রিপুরায় জোর কদমে প্রচার চালাচ্ছে তারা। মণিপুর এবং মেঘালয়েও দল বিধানসভা ভোট অংশ নেবে বলে ঠিক আছে। মেঘালয়ে ইতিমধ্যেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা-সহ কংগ্রেস ছেড়ে বেশ কয়েকজন নেতা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। মেঘালয় বিজেপিতেও ভাঙন ধরিয়েছে তৃণমূল। জনা পনেরো প্রথমসারির বিজেপি নেতা তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন দিন কয়েকের মধ্যেই। গোয়াতে তৃণমূলের মূল শক্তি কংগ্রেস ছেড়ে আসা নেতা, বিধায়ক, প্রাক্তন মন্ত্রীরা। হাত শিবিরের সঙ্গে আসন বোঝাপড়ার রাস্তা খোলা রাখার পাশাপাশি কংগ্রেসে ভাঙন ধরানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। শুক্রবারও বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা জোড়া ফুল পতাকা হাতে নিয়েছেন।
আগামী সোমবার তৃণমূল গোয়ায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে বলে ঠিক আছে। দলীয় সূত্রে বলা হচ্ছে, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করা হবে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন বোঝাপড়া করার। শুধু কংগ্রেস নয়, বিজেপি বিরোধী সব দলের সঙ্গেই জোট বাঁধতে আগ্রহী জোড়া ফুল শিবির। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ তৃণমূলের প্রস্তাব সরাসরি ফিরিয়ে দিয়েছে। কেজরিওয়াল জানিয়ে দেন, তৃণমূলের গোয়ায় কোনও শক্তি নেই। সেই সঙ্গে তৃণমূলকে কটাক্ষ করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভোটের কয়েক মাস আগে ময়দানে নেমে লড়াই করা যায় না।’
কিন্তু কংগ্রেস আপের মতো তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি। কংগ্রেসের গোয়ার দায়িত্বে থাকা প্রবীণ নেতা পি চিদম্বরম দিন কয়েক আগে অভিযোগ করেছিলেন, তৃণমূলের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনও প্রস্তাব আসেনি। তারই জবাবে তৃণমূল জানিয়েছে, নির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়া সত্ত্বেও কংগ্রেস রা কাড়ছে না।