Latest News

রাজ্যের ভাবনায় কি ‘দুয়ারে মোবাইল’? সরকারকে কেন এমন প্রশ্ন করলেন বিচারপতি

দ্য ওয়াল ব্যুরো: দুয়ারে সরকার থেকে দুয়ারে রেশন– এমন নানান প্রকল্প রয়েছে মমতা সরকারের। সরকারি পরিষেবা মানুষের দরজায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) চালু করেছিলেন দুয়ারে সরকার প্রকল্প। এমনকী বাড়ি বাড়ি রেশনও পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে রাজ্য সরকারের ভাবনায় কি ‘দুয়ারে মোবাইল’ (Duare Mobile) নামের কোনও পরিকল্পনা রয়েছে? বুধবার সরকারি আইনজীবীর কাছে সেটাই জানতে চাইলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Bishwajit Basu)।

কেন হঠাৎ হাইকোর্টের এজলাসে উঠে এল ‘দুয়ারে মোবাইল’ প্রসঙ্গ?

সময়ের হাত ধরে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে লেগেছে প্রযুক্তির ছোঁয়া। খাতায় কলমে কাজের বদলে এসেছে কম্পিউটার নির্ভরতা। আবার এখন সেই কম্পিউটারের জায়গা দখল করতে শুরু করেছে মোবাইল ফোন। অফলাইন থেকে হয়েছে অনলাইন পরিষেবা। শিক্ষা-স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে সর্বত্রই এই প্রবণতা। এতে মানুষ যেমন উপকৃত হয়েছেন, তেমন বিপদে পড়েছেন কিছু মানুষ। বিশেষত, যাঁদের বয়স ৫০ ছড়িয়েছে এমন অনেকেই আছেন যাঁরা এখনও কম্পিউটার বা মোবাইলে সড়গড় নন। দীপ্তাংশু বিশ্বাস হলেন এমনই একজন সরকারি কর্মী।

৫১ বছরে এসে তাঁর কাছে একটা বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ব্যবহার! কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়ে দীপ্তাংশু আবেদন করেন, মোবাইল ঠিকঠাক ব্যবহার করতে পারেন না, তাই কাজ করতে সমস্যায় পড়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে রাজ্য সরকার সর্বশিক্ষা মিশনের অধীনে ‘চাইল্ড রেজিস্টার পোর্টাল’ চালু করেছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে সাধারণত মোবাইলেই কাজ করা যায়। এতেই সমস্যায় পড়েছেন দীপ্তাংশুদের মতো কিছু কর্মী।

বুধবার দীপ্তাংশুর করা মামলার শুনানিতে বিচারপতি বসু ‘দুয়ারে মোবাইল’ প্রসঙ্গ টেনেছেন। আইনজীবীদের একাংশের মতে, বিচারপতি এটাই বোঝাতে চেয়েছেন যে যাঁরা এখন মোবাইল অ্যাপ বা মোবাইল ব্যবহারে অতটা বেশি স্বাচ্ছন্দ্য নন, তাঁদের জন্য সরকার উদ্যোগ নিক। মোবাইলের পাশাপাশি কম্পিউটারে কাজ করা যায় কিনা আগামী সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

বিচারপতির আড়াই লাখ টাকা দান লাইব্রেরিকে! এখানেই ‘এপাং ওপাং’ মন্তব্য করেন তিনি

You might also like