
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কোভিডের উত্তাল ঢেউয়ের মাঝে চার কর্পোরেশনের ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট যে পর্যবেক্ষণ রেখেছে তাতে বিরোধী শিবিরে একটা আশা তৈরি হয়েছে, ভোট পিছিয়ে যেতে পারে।
এদিন মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য তাঁর সওয়ালে বলেন, এই পরিস্থিতিতে ভোট পিছিয়ে দেওয়া হোক। বিজেপির আইনজীবীও একই কথা বলেন আদালতে। পাল্টা কমিশনের তরফে বলা হয়, কমিশনের ক্ষমতা নেই ঘোষিত নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার। যদি রাজ্য না বিপর্যয় ঘোষণা করে।
এরপরেই আদালত কমিশনের উদ্দেশে বলে,সংবিধান তো কমিশনকে নির্বাচন পরিচালনার সমস্ত ক্ষমতা দিয়েছে। তাহলে কেন কমিশন বলছে, রাজ্যের সঙ্গে কথা না বলে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না? আদালত এও বলেছে, কমিশন কোভিড পরিস্থিতি অনুধাবন করতে অক্ষম।
আইনজ্ঞ মহলের ব্যাখ্যা, আদালতে ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন কমিশনের আইনজীবী। তাঁদের বক্তব্য, পুর আইনে বলা আছে, তারিখ রাজ্য সরকার সুপারিশ করবে। কিন্তু ভোট করার সমস্ত এক্তিয়ার কমিশনের। এখন ভোট করার স্তরে নির্বাচন প্রক্রিয়া রয়েছে। তাহলে কেন কমিশন খামোকা নবান্নকে শিখণ্ডি খাড়া করতে চাইছে?
এদিনের শুনানির পর আদালত রায়দান স্থগিত রেখেছে। এদিন বেশ কয়েকটি বিষয়ে আদালতকে জানানোর জন্য কমিশন সময় চেয়েছিল, কিন্তু আদালত তা দেয়নি। বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে হাইকর্টের ওয়েবসাইটে পুর নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার রায় আপলোড করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। তবে আদালত কমিশনের প্রতি যে মনোভাব নিয়ে এদিন পর্যবেক্ষণ রেখেছে, তাতে বিরোধী ধিবির আশা করছে পুরভোট পিছিয়ে যেতে পারে।