
দ্য ওয়াল ব্যুরো, বাঁকুড়া: বিয়ের পর বারো বছর কেটে গেলেও পণের (dowry) দাবিতে অত্যাচার কমেনি স্বামীর। বরং দিনের পর দিন সেই নির্যাতন মাত্রাছাড়া হয়েছে। স্ত্রী সংসার ছেড়ে চলে গেলেও তাঁর বাপের বাড়ি গিয়ে গণ্ডগোল বাঁধিয়েছে স্বামী। আর এবার পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে চড়াও হয়ে স্ত্রী ও শাশুড়িকে ছুরির (knife) কোপ মারার অভিযোগ উঠল সেই ‘গুণধর’ জামাইয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) ইন্দপুর থানার মহেশপুর গ্রামে।
এই ঘটনায় মা-মেয়ে দু’জনেই গুরুতর আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সেখান থেকেই অভিযুক্ত জামাইকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে সেই ব্যক্তিকে খাতড়া মহকুমা আদালতে পেশ করলে আদালত ধৃতকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। অন্যদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করে প্রথমে ইন্দপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাঁদের বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করেন। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, আজ থেকে বছর বারো আগে বাঁকুড়ার কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা প্রদীপ দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় ইন্দপুর থানার মহেশপুর গ্রামের অতসী তন্তুবায়ের। অভিযোগ, বিয়ের বছর তিনেক পর থেকেই পণের দাবি করতে থাকে অতসীর স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির অন্যান্যরা। কিন্তু অতসীর বাপের বাড়ি থেকে পণ বাবদ বাড়তি টাকা দিতে অস্বীকার করলে শুরু হয় অকথ্য অত্যাচার। সংসার ও দুই মেয়ের মুখ চেয়ে সেই অত্যাচার বহু বছর ধরে সহ্য করলেও শেষে দু’বছর আগে দুই মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়িতে ফিরে আসে অতসী।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে প্রদীপ আচমকাই নিজেই শ্বশুরবাড়িতে হাজির হয়। আবার পণের দাবি জানাতে থাকে সে। সেই নিয়েই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, ঝগড়া চলাকালীন আচমকাই ছুরি বের করে স্ত্রীর উপর আক্রমণ চালায় প্রদীপ। পরপর ছুরির কোপ বসিয়ে দেয় অতসীর শরীরে। সেইসময় শাশুড়ি টিঙ্কু তন্তুবায় বাধা দিতে গেলে তাঁকেও ছুরির কোপ মারে প্রদীপ। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন দু’জনেই। তাঁদের আর্তনাদ শুনে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন পাড়া-প্রতিবেশীরা। তাঁরাই প্রদীপকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
বারুইপুরে চোর সন্দেহে নাবালককে পিটিয়ে খুন! গুরুতর আহত আরও এক