
অগ্নিমিত্রা তাঁর ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, আলিপুর সংশোধনাগারে থাকা মহিলা বন্দিদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই একটি সেলাইয়ের ওয়ার্কশপ করান তিনি। কোনও অন্যায় করার কারণে, সমাজের মূলস্রোত থেকে বিপথে চলে যাওয়া মহিলাদের উন্নতির জন্যই তিনি এই সমাজকল্যাণমূলক কাজ করেন। সেলাইয়ের কাজ শিখিয়ে পড়িয়ে তাঁদের কাজ দিচ্ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, সম্প্রতি ওই সংশোধনাগারের তরফে একটি চিঠিতে জানানো হয়, যে অগ্নিমিত্রা আর ওয়ার্কশপ করাতে পারবেন না সেখানে। কেন করতে পারবেন না জানতে চাইলেও, তার কোনও সদুত্তর পাননি বলেই দাবি তাঁর।
অগ্নিমিত্রার অভিযোগ, তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কারণেই সংশোধনাগারে তাঁর সমাজকল্যাণমূলক কাজ বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। এ প্রসঙ্গে ফেসবুকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে লেখা একটি খোলা চিঠিতে অগ্নিমিত্রা লেখেন, আলিপুর সংশোধনাগারে মহিলাদের পোশাক বানানোর প্রশিক্ষণ দিয়ে তাঁরই ব্যান্ডের অধীনে স্বনির্ভর করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। মহিলা বন্দিরা তাঁরই ফ্যাশন ব্র্যান্ডের অধীনে কাজ করতেন। বিনিময়ে পারিশ্রমিকও দেওয়া হতো তাঁদের। এতে দোষটা কোথায়?
চিঠিতে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই বিষয়টি দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ”আমি মার্চে বিজেপিতে যোগ দিলাম আর মে মাসে আমার কাছে এ রকম একটা চিঠি এল। অনেকে বলছেন, বিজেপিতে যোগ দিয়েছি বলেই এ রকম করা হয়েছে। কোন রাজনৈতিক রঙের সঙ্গে আমি যুক্ত, সেই ভিত্তিতেই কি কাজের পরিধি নির্ধারিত হবে? তা হলে কি ভাল কাজের মূল্য নেই? নিজের খরচে আমি মেয়েদের কাজ শিখিয়ে কাজ দিতাম। বদলে পারিশ্রমিকও পেত তারা। কোথাও থেকে এক পয়সাও সাহায্য পাইনি।”
এই প্রসঙ্গে অগ্নিমিত্রা জানান, এই উদ্যোগের গোটা খরচটাই তাঁর নিজের। রাজনৈতিক রঙের কারণেই তাঁকে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন অগ্নিমিত্রা। তবে এই ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বিতর্ক হওয়ায় পরে সেটি ডিলিট করে দিয়েছেন অগ্নিমিত্রা। তবে তিনি অন্য উপায়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ার চেষ্টা করবেন বলেও লিখেছিলেন ওই চিঠিতে।