Latest News

কাজ না করায় রতনকে টিকিট দেননি, দলের প্রকাশ্য সভায় সাফ জানালেন মমতা

দ্য ওয়াল ব্যুরো: দিদির পাড়া ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড। সেখানকার দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর ছিলেন রতন মালাকার। এবার রতনকে টিকিট দেয়নি দল। প্রথমে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে পরে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন রতন। কিন্তু কেন তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়নি তা নিয়ে কলকাতা পুরভোটের পয়লা সভায় কার্যত হাটে হাড়ি ভেঙে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বুধবার ফুলবাগান মোড়ে তৃণমূলের সভা থেকে দিদি বলেন, “একদিন আমি আমার পাড়া ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড দিয়ে যাচ্ছি, দেখি কিছু লোক আমার গাড়ি আটকেছেন। আমায় তাঁরা বললেন, দেখুন না দিদি, আমাদের এখানকার পাইপটা ফেটে গেছে, কবে থেকে বলছি, ঠিক করে দিচ্ছে না।” এরপরেই মমতা ওই সভায় বলেন, “আমি ওই কাউন্সিলরটাকে ফোন করলাম। করে বললাম, কী রে! পাইপটাও আমাকে সারিয়ে দিতে হবে নাকি? তোকে বলেছে তুই করে দিসনি কেন?”

তখনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল সেই কারণেই দিদি এবার রতনকে দাঁড় করাননি। এবার ওই ওয়ার্ডে তৃণমূলের টিকিটে লড়ছেন দিদির ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা তাও সোজাসাপ্টা করে বুঝিয়ে দিতে বলেন, “ওই জন্য এবার ওকে টিকিট দিইনি!”

এ নিয়ে রতন মালাকারকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, আমি কিছু বলব না।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে ফুলবাগানে দাঁড়িয়ে ভবানীপুরের কথা কেন টানলেন মমতা?

এদিন দিদি প্রার্থীদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে বলেন, রাস্তার কাজ, আলোর কাজ কাউন্সিলরকেই করতে হবে। যাঁরা করতে পারবেন তাঁরা কাউন্সিলর হবেন আর যাঁরা পারবেন না তাঁরা হবেন না।

পাশাপাশি ফুলবাগান এলাকার একটি ওয়ার্ডের প্রার্থী তথা বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পালের নাম করে বলেন, এই ওয়ার্ডটার জন্য পরেশের প্রাণ কাঁদে। একবার আমার বাড়িতে গিয়ে বলেছিল, দিদি তুমি আমায় এমএলএ সিট দাও না দাও কাউন্সিলর কিন্তু দিও। সেই থেকে আমি বুঝেছিলাম। তৃণমূলনেত্রী এদিন বুঝিয়ে দিতে চান, হতে পারেণ তিনি দলের নেত্রী, হতে পারেন তিনিই দলের মুখ। কিন্তু পাড়ার সমস্যা সমাধান নবান্ন থেকে বা কালীঘাট থেকে হবে না। তা করতে হবে কাউন্সিলরদেরই। রতনের উদাহরণ দিয়ে হয়তো এও বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, এই পাঁচ বছর কাজ না করলে আগামী বার এবারের জেতাদের অনেকের অবস্থাও রতন মালাকারের মতো হতে পারে।

You might also like