
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাতে মেয়েদের জন্যই কেন এত নিষেধাজ্ঞা থাকবে, মেয়েদেরই কেন শুধু বাড়িতে বন্ধ করে রাখা হবে, ছেলেদের নয় কেন? বুধবার একটি আবেদনের শুনানিতে বড় প্রশ্ন তুলে দিল কেরল হাইকোর্ট (Kerala High Court)।
কেরলের একটি হস্টেলে কার্ফু জারির সরকারি আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে, কোঝিকোড়ের মেডিক্যাল কলেজের পাঁচ এমবিবিএস ছাত্রীর করা আবেদন বিবেচনা করার সময় এমনই পর্যবেক্ষণ করেছে কেরল হাইকোর্ট। বিচারপতি দেবন রামচন্দ্রন জানিয়েছেন, মহিলা হস্টেলে এত নিয়ম জারি করা যাবে না। যদি মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা না যায়, তাহলে পুরুষদের তালাবন্ধ করে রাখুন। বিচারপতি নির্দেশ, অন্ধকার নামার পরেও যাতে সকলের বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে সুরক্ষা থাকে সেটা সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে।
রাত সাড়ে ৯টার পরে হস্টেল থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল সরকারি তরফে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কোঝিকোড় মেডিক্যাল কলেজের পাঁচজন ছাত্রী আদালতে আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনের শুনানিতে (Kerala High Court) বিচারপতি রামচন্দ্রন বলেন, “পুরুষদের তালাবদ্ধ করে রাখুন। কারণ তারাই ঝামেলা করে। রাত ৮টার পর পুরুষদের জন্য কার্ফু জারি করুন। মহিলাদের বের হতে দিন।”
সুরশৃঙ্গারে ঝঙ্কার তুলছেন, বিলুপ্তপ্রায় মোহনবীণার পুনর্জীবনের ‘কারিগর’ কলকাতার জয়দীপ
বিচারপতির বক্তব্য, বিধিনিষেধ আরোপে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু, তা অবশ্যই পুরুষ -মহিলা নির্বিশষে সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া উচিত। সমাজে শুধু মেয়েদের জন্যই হাজারটা নিষেধাজ্ঞা জারি হয়, কিন্তু পুরুষদের জন্য তা হয় না। এই বৈষম্য দূর করা উচিত।