
দ্য ওয়াল ব্যুরো : মঙ্গলবারই চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, আমরা জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। ভারত এখনও এই মন্তব্যের পালটা জবাব দেয়নি। সেজন্য কংগ্রেস তীব্র সমালোচনা করল সরকারের। দলের প্রবীণ নেতা মনীশ তেওয়ারি বৃহস্পতিবার বলেন, ভারত কেন চিনের বিরুদ্ধে হংকং, শিনজিয়াং প্রদেশ বা তিব্বত নিয়ে পালটা মন্তব্য করছে না।
চলতি সপ্তাহের শেষেই ভারতে আসছেন চিনের প্রেসিডেন্ট। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হবে। দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয় নিয়ে মোদী শি-র সঙ্গে কথা বলবেন। তার আগে চিন থেকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁর সঙ্গে কথা বলেন শি। তারপরেই মন্তব্য করেন কাশ্মীর সম্পর্কে। একইসঙ্গে বলেন, আমরা যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে পাকিস্তানের পাশেই থাকব।
তারপরেই মনীশ তেওয়ারি টুইট করে বলেন, শি-র মন্তব্যের জবাবে ভারত বলতে পারত, হংকং-এ কীভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন করা হচ্ছে সেদিকে আমরা নজর রাখছি। শিনজিয়াং-এ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ওপরে আমরা নজর রাখছি। তিব্বতে কীভাবে দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে, সেদিকে নজর রাখছি। দক্ষিণ চিন উপসাগরের দিকেও আমাদের নজর আছে।
Xi Jingping says he is watching Kashmir but why does @PMOIndia/MEA not say 1)We are watching Pro Democracy protests muzzled in Hong Kong. 2 )We are watching human rights violations in Xinjiang. 3 )We are watching continued oppression in Tibet 4 )We are watching South China Sea
— Manish Tewari (@ManishTewari) October 10, 2019
বুধবার শি কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য করার কয়েকঘণ্টা পরে পালটা বিবৃতি দেয় বিদেশ মন্ত্রক। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, ইমরান খানের সঙ্গে শি জিনপিং বৈঠক করেছেন। তাঁরা কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য করেছেন। জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। আমরা বরাবরই বলে এসেছি, কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।
বুধবার চিন ও পাকিস্তানের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদ এবং নিরাপত্তা পরিষদ ও অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক চুক্তি মেনে কাশ্মীর ইস্যুর মীমাংসা করা উচিত। কেউ যদি একতরফা পদক্ষেপ করে তাহলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে।