দ্য ওয়াল ব্যুরো: টালমাটাল পরিস্থিতিতে কাঁপছে গোটা আফগানিস্তান। তালিবান শাসনের হাত থেকে পালাতে চেয়ে বিশৃঙ্খলা আরও বাড়ছে। বিক্ষিপ্ত ও বিচ্ছিন্ন হিংসার ঘটনা ঘটছে একের পর এক। ইতিমধ্যেই অন্তত ২০ জন আফগান কাবুল বিমানবন্দরে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে আমেরিকার ন্যাটো বাহিনী।এমনই পরিস্থিতিতে গোটা দেশে তীব্র সংকটে পৌঁছেছে স্বাস্থ্য পরিষেবা। বিশেষ করে জরুরিকালীন পরিষেবা না পেয়ে বিপদ বাড়ছে ক্রমেই৷ তাই, সব সংকটের ঊর্ধ্বে জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবাটুকু যাতে পূরণ হয়, সে জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’ এবং ইউনিসেফ। তাদের বক্তব্য, এই অল্প কদিনের মধ্যে লাখ তিনেক মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন৷ তাঁদের কথা ভেবে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।হু এবং ইউনিসেফ জানিয়েছে, এখন কোনও বাণিজ্যিক উড়ানের অনুমতি নেই আফগানিস্তানে। ফলে সে দেশে জরুরি সামগ্রী সরবরাহেরও কোনও উপায় নেই। সকলের হাত-পা বাঁধা। তাই যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানে আন্তর্জাতিক স্তরে ‘মানবিক এয়ার ব্রিজ’ তৈরির কাজ করতে হবে৷ তারা জানিয়েছে, এই কাজে রাষ্ট্রপুঞ্জ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থার সাহায্য চাওয়া হবে৷জানা গেছে, তালিবানি দখলের প্রথম কয়েক দিন কয়েক দিনে আফগানিস্তানে হু এবং ইউনিসেফ কর্মীদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। তাই এই কঠিন সময়েও এই দুই সংস্থার পরিষেবা অব্যাহত ছিল আফগানিস্তানে৷ এমনকি গোটা দেশ থেকে যখন সকলে পালাতে চাইছেন, তখন এই দুই সংস্থার কর্মীরা আফগানিস্তানেই থাকার এবং কাজ করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সংঘাত, সেই সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি– এই দুই মিলিয়ে ইউনিসেফ ও হু কর্মীদের পক্ষেও কঠিন হচ্ছে নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবা চালু রাখা। স্বাস্থ্যখাতে চাহিদাও ক্রমে বাড়ছে। সেই কারণেই আরও অন্যান্য সংস্থাকে এগিয়ে আসার কথাও বলেছে তারা। সেই সঙ্গে চিন্তার বিষয় এটাই, পুষ্টির অভাবে যেন কোনও প্রাণহানি না হয়।