
গুলেরিয়া বলেছেন, ভারত বায়োটেক ও জাইদাস ক্যাডিলার ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের রেজাল্ট ভাল। সেরাম ইনস্টিটিউটও চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়ালে রয়েছে। সব ঠিক থাকলে, আগামী বছরের শুরুর দিকেই করোনার টিক চলে আসবে দেশে। তবে কোটি কোটি টিকার ডোজ তৈরি করাটাই চ্যালেঞ্জ। দেশের প্রতি নাগরিকের জন্য টিকার ডোজ তৈরি করতে হলে আরও কিছুটা সময় লাগবে।
চূড়ান্ত পর্বের সব রকমের পরীক্ষানিরীক্ষার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এইমসের ডিরেক্টর। সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক স্বেচ্ছাসেবক ছাড়াও শিশু, গর্ভবতী মহিলা ও রোগীদের শরীরে টিকা রোগ প্রতিরোধ তৈরি করতে পারে না কিনা সেটা যাচাই করার পরেই সার্ভিক ভাবে টিকা প্রয়োগের অনুমতি দেওয়া হবে।
একুশেই কোভিড ভ্যাকসিন আসতে পারে এমন সম্ভাবনার কথা বলেছেন, ভেলোর ক্রিশ্চিয়ান মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজিস্ট ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) গ্লোবাল অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য গগনদীপ কাং। তিনি বলেছিলেন, টিকার ডোজে শরীরে কতটা অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে এবং কী পরিমাণে রোগ প্রতিরোধ গড়ে উঠছে সেটাই পর্যবেক্ষণের বিষয়। সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে অক্টোবরের মধ্যে বড় সংখ্যক মানুষের উপরে টিকার ডোজ যদি কার্যকরী প্রমাণিত হয় তাহলেই এর বিপুল হারে উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে।
দেশে এখন করোনার ভ্যাকসিন দৌড়ে এগিয়ে আছে ভারত বায়োটেক, জাইদাস ক্যাডিলা ও সেরাম ইনস্টিটিউট। এর মধ্যে সেরাম অক্সফোর্ডের ফর্মুলায় তৈরি তাদের কোভিশিল্ড টিকার তৃতীয় স্তরের ট্রায়াল শুরু করে দিয়েছে। এই পর্বে হাজারের বেশি জনকে টিকার ডোজ দেওয়া হবে। অন্যদিকে, কোভিড ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় পর্বের ট্রায়ালে রয়েছে ভারত বায়োটেক। তাদের তৈরি কোভ্যাক্সিন পশুদের শরীরের বলিষ্ঠ রোগ প্রতিরোধ তৈরি করেছে বলে দাবি করেছেন ভাইরোলজিস্টরা। রেসাস প্রজাতির বাঁদরের শরীরে এই টিকার ডোজে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে বলেই দাবি। সেই সঙ্গে সক্রিয় হয়েছে টি-কোষও। কোভ্যাক্সিনের সেফটি ট্রায়ালের রিপোর্টও বেশ ভাল। ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, এই টিকার ডোজ মানুষের শরীরেও একইভাবে অ্যান্টিবডি তৈরি করছে। চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়াল শেষ হওয়ার পরেই সেই রেজাল্ট পাওয়া যাবে।