
দ্য ওয়াল ব্যুরোঃ সিনে দুনিয়ায় অন্যতম সেরা জুটি তাঁরা। শর্মিলা ঠাকুর আর মনসুর আলি খান পতৌদি। একটা সময়ে বলিউডে এই যুগলকে নিয়ে চর্চার শেষ ছিল না। বুধবার ছিল তাঁদের মধ্যে একজনের জন্মদিন। শর্মিলা ঠাকুর বুধবার পা রাখলেন ৭৭ বছর বয়সে।
শর্মিলা-পতৌদি সম্পর্কের রসায়ন বলিউডে বরাবরই ছিল অন্যতম আকর্ষণ। এই শর্মিলাই একসময় বিকিনি পরে ফটোশ্যুট করেছিলেন। ১৯৯৬ সালে একটি ম্যাগাজিনের জন্য তোলা সেই ছবি চারদিকে যেন ঝড় তুলেছিল। ফিল্ম ফেয়ার ম্যাগাজিনের কভার জুড়ে ছিলেন বিকিনি পরা শর্মিলা ঠাকুর। সিনেমা হল থেকে শুরু করে চায়ের দোকান, ঠাকুর পরিবারের অন্যতম বংশধর কন্যার এমন ‘অশ্লীল’ ছবি দেখে ঢি ঢি পড়ে গিয়েছিল চারদিকে। মনে রাখা দরকার, নব্বইয়ের দশকে বিকিনি পরা যে কোনও অভিনেত্রীর কাছেই বেশ চ্যালেঞ্জিং। কারণ এখনকার মতো তখন সবকিছু এত সহজ ছিল না। বিকিনি পরে ফটোশ্যুট করে যথেষ্ট সাহসিকতার পরিচয়ই দিয়েছিলেন শর্মিলা।
কিন্তু বউয়ের এমন ছবি দেখে কী প্রতিক্রিয়া ছিল পতৌদির? কী বলেছিলেন তিনি শর্মিলাকে? একটি সাক্ষাৎকারে শর্মিলা নিজেই ফাঁস করেছিলেন সে কথা। বলেছিলেন, যখন ম্যাগাজিনে তাঁর ওই বিতর্কিত ছবিটি প্রকাশিত হয়েছিল, চারদিকে প্রচুর সমালোচনা হচ্ছিল, তিনি তখন লন্ডনে ছিলেন। দেশে যে তাঁকে নিয়ে কাঁটাছেঁড়া চলছে তা লন্ডন থেকেই শুনেছিলেন শর্মিলা। সব শুনে বেশ হতাশও হয়ে পড়েছিলেন। টেলিগ্রাম করেছিলেন নিজের স্বামীকে।
পতৌদি শর্মিলার টেলিগ্রামের জবাবে বলেছিলেন, আমি নিশ্চিত তোমাকে ভালই দেখতে লাগছে। সব সময় যে পতৌদি তাঁর পাশেই থাকতেন, যে কোনও পরিস্থিতিতেই স্বামীকে পাশে পেতেন, শর্মিলা নিজেই সে কথা জানিয়েছেন।
তবে সেদিনের পর থেকে আর কোনও বিতর্কিৎ ফটোশ্যুট করতে দেখা যায়নি শর্মিলা ঠাকুরকে। তিনি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, আমি সেদিন বুঝতে পেরেছিলাম, যদি তুমি কোনওভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠো, তোমাকে তার সঙ্গে সঙ্গে কিছু দায়িত্বও নিতে হবে। তুমি যা ইচ্ছে তাই করতে পারো না। তোমাকে বুঝতে হবে, জনতা তোমার কাছ থেকে কী চাইছে, কেমনভাবে তোমাকে দেখতে চাইছে। আমি সেদিন বুঝেছিলাম, মানুষ গ্ল্যামার পছন্দ করে ঠিকই, কিন্তু তাকে সম্মান করে না মোটেই। আমি সম্মান চেয়েছিলাম। তাই তারপর থেকে আমি নিজের ভাবমূর্তি বদলে ফেলেছি।