
কিন্তু ঠান্ডা পানীয় দিয়ে অতিথি আপ্যায়নের বদলে তাঁদের কপালে পুলিশের লাঠির বাড়ি জুটতে চলেছে— এটা বোধ হয় কেউ ঘুণাক্ষরে কল্পনা করেননি। শুধু তাই নয়। বর-কনের সাত পাক ঘোরা দেখার বদলে আইন ভাঙার শাস্তি হিসেবে তাঁদেরকেই ‘ফ্রগ জাম্প’ দিতে হবে— এমনটা জানলে হয়তো উমারির ছায়াও মাড়াতেন না কেউ।
ঘটনাস্থল মধ্যপ্রদেশের ভিন্ডি জেলার উমারি। এখানেই লকডাউনের নিয়ম অমান্য করে বিয়ের মহরৎ বসেছিল। অতিথিদের সংখ্যা থেকে শুরু করে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ববিধি— মানা হয়নি কিছুই। এই খবরটুকু স্রেফ কানে যেতে দেরি। তখনই বিয়ের আসরে হানা দেয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
দেখুন ভিডিও।
In Bhind "Baaratis" were made to do ‘Frog Jump’ for violating #CovidIndia-19 restrictions. The wedding was being organized, in violation of the lockdown restriction enforced in Bhind @ndtv @ndtvindia @GargiRawat @manishndtv pic.twitter.com/QftxjTsFvL
— Anurag Dwary (@Anurag_Dwary) May 20, 2021
এদিকে বরের অপেক্ষা করতে করতে পাত্রপক্ষ, পাত্রীপক্ষ— দু’তরফই ক্লান্ত হওয়ার জোগাড়। টুকটাক খাবার মুখে চালান দিয়েও তৃপ্তি মিলছে না। অনুষ্ঠান শুরুর অপেক্ষায় সকলে। হঠাৎ চারিদিকে হইহই কাণ্ড, রইরই ব্যাপার। কী? না, পুলিশ এসেছে। খানা খেতে নয়। শ্রীঘরে নিয়ে যেতে।
খবরটা কানে যেতেই গোটা আসর ছত্রভঙ্গ। যে যার মতো পারছে ছুটে পালাচ্ছে। কিন্তু পুলিশের লম্বা হাতের নাগাল পেরোন কি চাট্টিখানি কথা? সেই জালে ধরাও পড়েন জনা সতেরো ব্যক্তি। তারপর তাঁদের রীতিমতো ‘অভ্যর্থনা’ করে কিছুটা দূরে নিয়ে যাওয়া হয়। কান ধরে উঠ-বসের শাস্তি দেওয়াই যেত। কিন্তু বিয়েবাড়ির ‘অতিথি’ বলে কথা। কোভিডের সামান্য নিয়মটুকু মানেননি।
তাই সবক শেখাতে তাঁদের ‘ফ্রগ জাম্প’ করতে করতে গ্রামের শেষমাথা পর্যন্ত যাওয়ার নির্দেশ দেয় পুলিশ। ব্যাঙের কায়দায় থপ থপ করে এগোতে থাকেন সকলে। একজন এখানেও নিয়ম ভাঙার কায়দা করলে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যান এক পুলিশকর্মী। তারপর গ্রামের মোড়ে এসে ‘আর কোনওদিন এভাবে আইন ভাঙব না’ বলে ছাড়া পান সকলে।
গোটা ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই হেসে কুটোপুটি নেটনাগরিকেরা। অবশ্য কোভিড-আবহে আগে সচেতনতা। তারপর অন্যকিছু। তাই বিয়ের দাওয়াতের বদলে এমন জামাই আদরকে সমর্থনও করেছেন অনেকে।