
বিরাট কোহলির অবর্তমানে কেএল রাহুল টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন। জো বার্গের বাউন্সি ও গতিসম্পন্ন পিচে শুরুটা ভাল করেছিল দল। দলের নেতা রাহুলের ধারাবাহিকতা বজায় থাকল এবারও। তিনি হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করে জানসেনের বলে রাবাদার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। লোকেশের ৫০ রান এসেছে ১৩৩ বলে, তার মধ্যে নয়টি চার রয়েছে।
ভারতীয় দলের ব্যাটিংকে ভয় পাইয়ে দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার তিন পেসার। রাবাদার পাশে জানসেন ও অলিভারও ভয়ঙ্কর বোলিং করে বিপক্ষের নাভিশ্বাস উঠিয়ে দিয়েছেন। রাবাদা ও অলিভার পান তিনটি করে উইকেট, আর বাঁহাতি মিডিয়াম পেসার জানসেন পান চার উইকেট ৩১ রানের বিনিময়ে।
Pace, bounce, wickets: the South African quicks were on fire 🔥#SAvIND
— ESPNcricinfo (@ESPNcricinfo) January 3, 2022
রাহুল ছাড়া বাকিদের মধ্যে রান পেয়েছেন অশ্বিন (৫০ বলে ৪৬) ও অন্য ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়াল (২৬)। ঋষভের ১৭ ও বুমরার ১৪ রান স্কোরকে কিছুটা বাড়িয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে ফের ব্যর্থ হয়েছেন দলের দুই সিনিয়র ব্যাটসম্যান অজিঙ্ক্যা রাহানে (০) ও চেতেশ্বর পূজারা (৩)। দুই ব্যাটসম্যানই পরের টেস্টে দলে থাকবেন কিনা প্রশ্ন উঠছে।
Rassie Van Der Dussen takes a left handed Stunning catch 🤯#INDvsSA #SAvsIND #INDvSA pic.twitter.com/UPSvFOA9PH
— CRICKET VIDEOS 🏏 (@AbdullahNeaz) January 3, 2022
ইনিংসের ২৪তম ওভারে ভারত পরপর জোড়া উইকেট হারানোর পর ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন কোহলির বদলে প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়া হনুমা বিহারী। তিনি যখন ব্যাট করতে নামেন, টিম ইন্ডিয়ার স্কোর ছিল ৪৯ রানে ৩ উইকেট।
৩৯তম ওভারে আচমকাই রাবাদার একটি অফ-স্টাম্পের লাফিয়ে ওঠা বলে আউট হয়ে বসেন তিনি। যদিও বিহারীকে আউট করার ক্ষেত্রে রাবাদার থেকে ফিল্ডার ভ্যান ডার দাসেনের কৃতিত্বই বেশি। কেননা শর্ট-লেগে ফিল্ডিং করা দাসেন অতি কম সময়ে বাঁ-হাতে ক্যাচ ধরার ক্ষেত্রে যে ক্ষিপ্রতা দেখান, তা এককথায় অনবদ্য।
তার মধ্যেই একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছে। কেএল রাহুল হলেন দ্বিতীয় কোনও ভারত অধিনায়ক যিনি টেস্টই প্রথম নেতৃত্ব পেলেন। এর আগে মহম্মদ আজহারউদ্দিন ১৯৯০ সালে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে শুরু করেছিলেন অধিনায়ক জীবন, তারপর এই লোকেশ। এর আগে যাঁরাই দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাঁরা শুরু করেছিলেন ওয়ান ডে অধিনায়ক হিসেবে। সানি থেকে কপিল, কিংবা সৌরভ থেকে কোহলি, সবাই তাই।