
যতই তাঁকে ব্যর্থ অধিনায়ক হিসেবে প্রতিপন্ন করার চেষ্টা হোক না কেন, ইতিহাস কখনও অসত্য বলে না। তাই বক্সিং ডে টেস্টের দিন শুরু হওয়া টেস্টে জিতে তিনি এক রেকর্ড গড়লেন। যা কিনা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, এমএস ধোনি কিংবা রাহুল দ্রাবিড়েরও নেই।
২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে মেলবোর্নের পরে দক্ষিণ আফ্রিকার সেঞ্চুরিয়ন, কোহলিই প্রথম ভারতীয় অধিনায়ক যিনি একাধিক বক্সিং ডে (২৬ ডিসেম্বর) টেস্ট ম্যাচ জিতলেন।
আগেই পরিসংখ্যানের বিচারে অতীতের সব ভারতীয় অধিনায়কের চেয়ে অধিক টেস্ট ম্যাচ জয়ের রেকর্ড রয়েছে কোহলির দখলে। এই নয়া রেকর্ডের মাধ্যমে বিদেশের মাটিতে ভারতীয় দল অনেকবেশি পরিণত, তারও প্রমাণ মিলেছে।
নেতা হিসেবে গর্বিত করলেও ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি কালো অধ্যায়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। টানা দু’বছর তাঁর সেঞ্চুরি নেই। ইনিংস ধরলে মোট ৬০টি ইনিংসে। প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনে কোহলি মাত্র ১৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ফলে ৭৬৮ দিন ভারতীয় এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসেনি কোনও আন্তর্জাতিক শতরান। যা ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে এক লজ্জার নজিরও বটে।
উল্লেখ্য প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বিরাটকে অবশ্য ব্যাট হাতে বেশ স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ক্রিজে রয়েছেন বলে মনে হচ্ছিল। তবে ৯৪ বলে সেদিন ৩৫ রান করে এনগিডির আরও একটি ওয়াইড বল তিনি তাড়া করতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হন।
এই আউট হওয়ার ফলে কোহলির ব্যাটিং গড় টানা ১৪ বার পতনের সম্মুখীন হল। প্রসঙ্গত ২০১৯ সালে ইডেন গার্ডেন্সে পিঙ্ক বল টেস্টে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১৩৬ রানের একটি ইনিংস খেলেছিলেন বিরাট। তারপর থেকে কোনও ফর্ম্যাটেই আর তাঁর ব্যাট থেকে শতরানের ইনিংস আসেনি।
এই মুহূর্তে কোহলির টেস্টে ব্যাটিং গড় ৫৪.৯৭ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৫০.৩৪, যা ২০১৭ সালের নভেম্বরের পরে তাঁর ক্রিকেট জীবনের সর্বনিম্ম গড় হিসেবে গন্য হচ্ছে।