
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইদানীং তুষারপাতে ডুবে রয়েছে ভূস্বর্গ। আর সেই বরফ সাম্রাজ্যের রূপ দেখে সুইত্জারল্যান্ডকে ‘গুডবাই’ বলে দিলেন মোহিত শিল্পপতি আনন্দ মাহিন্দ্রা। ট্যুইট করলেন ‘হ্যালো শ্রীনগর, গুডবাই সুইজারল্যান্ড!’
শিল্প, বিনিয়োগ, ব্যবসার দুনিয়ার নামী মানুষ আনন্দ। কিন্তু প্রায়ই তিনি নানা বিষয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন যা অনুপ্রেরণা, ভাবনার রসদ জোগায়, অর্ন্তদৃষ্টির দরজা খুলে দেয়। রবিবার তিনি বরফের চাদরে ঢাকা শ্রীনগরের একাধিক ছবি ট্যুইট করেন।
Hello Srinagar. Goodbye Switzerland… pic.twitter.com/ddnBblZsrb
— anand mahindra (@anandmahindra) January 16, 2022
নেট দুনিয়ায় সাড়া ফেলে দেয় সেগুলি। ভারতের অন্য অংশের বরফঢাকা পাহাড়ের ছবি পোস্ট করে নেটিজেনরা নানারকম প্রতিক্রিয়া দেন। একজন যেমন লেখেন, ভারতের বিরাট টাইকুন যদি অতিরিক্ত প্রচার পাওয়া সুইত্জারল্যান্ডের পরিবর্তে হিমালয়কেন্দ্রিক পর্যটনে উদ্যোগী হন, সত্যিই ওঁর প্রশংসা করব। এতে আমাদের ট্যুরিজম চাঙ্গা হবে। কেউ লেখেন, সিমলাকেও হ্যালো বলুন। আরেকজন লেখেন, হ্যালো মেঘালয়, গুডবাই স্কটল্যান্ড। হ্যালো সিকিম।
সব ট্যুইটারেটিরই একসুর, সৌন্দর্য্যে, রূপমহিমায় ভারতের পাহাড়ি এলাকাও কম যায় না।
দেখুন কাশ্মীরের ভিডিও।
আনন্দ বরাবরই প্রকৃতিপ্রেমী। ১১ তারিখ তিনি হিমালয়ের সূর্যাস্তের ছবি পোস্ট করে লেখেন, ওহ, এটা রিট্যুইট করার লোভ সংবরণ করতে পারলাম না। সুন্দর। সত্যিই এ আমাদের অকল্পনীয় ভারত।
Oh I couldn’t resist retweeting this one… Beautiful. Truly our Incredible India https://t.co/zeRJibl1I6
— anand mahindra (@anandmahindra) January 11, 2022
কিন্তু কাশ্মীরের তুষারপাতেরও একটা ইতিহাস আছে। গত ২১ ডিসেম্বর থেকে সেখানে শুরু হয়েছে চিল্লা-ই-কালান। ৪০ দিনের সবচেয়ে তীব্র ঠান্ডার পর্ব চলছে। এসময় শৈত্যপ্রবাহ গোটা কাশ্মীর উপত্যকাকে গ্রাস করে নেয়। তাপমাত্রা এত নেমে যায় যে, বিখ্যাত ডাল লেক সমেত যাবতীয় জলাশয়, জল সরবরাহের শাখাপ্রশাখা বরফে জমে যায়। মনে হয়, এই তুষারসাম্রাজ্যের যেন অন্ত নেই। মাঝারি থেকে ভারী তুষারপাত চলতেই থাকে।
সরকারি ভাবে ৩১ জানুয়ারি চিল্লা-ই-কালান শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু তারপরও শৈত্যপ্রবাহ চলতেই থাকে। ২০ দিনের ‘চিল্লা-ই-খুর্দ’ , ১০ দিনের ‘চিল্লা-ই-বাচ্চা’ পর্বও চলে।