
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রয়াত হলেন পদ্মভূষণ পুরস্কারপ্রাপ্ত সঙ্গীতশিল্পী বাণী জয়রাম (Vani Jairam)। শনিবার ৭৭ বছর বয়সে চেন্নাইতে নিজের বাসভবনেই মৃত্যু (death) হয় তাঁর। শিল্পীর আকস্মিক প্রয়াণের খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে অনুরাগীদের মনে। তবে ওঁর মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। কীভাবে সঙ্গীতশিল্পীর মৃত্যু হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে প্রথম প্লেব্যাক করেছিলেন বাণী জয়রাম। জয়া বচ্চন অভিনীত ‘গুড্ডি’ ছবিতে গান গেয়েছিলেন তিনি। নিজের সঙ্গীত জীবনে মোট ১৯টি ভাষায় প্রায় ১০ হাজারের কাছাকাছি গান গেয়েছেন এই সঙ্গীতশিল্পী। দীর্ঘ সঙ্গীতজীবনে তিনি এমএস বিশ্বনাথন, কেভি মহাদেবন, চক্রবর্তী, ইলাইয়ারাজা এবং সত্যম-সহ অনেক কিংবদন্তি সুরকারের সঙ্গে কাজ করেছেন।
বাণী জয়রাম হলেন তামিলনাড়ুর মেয়ে। তামিল গানের জগতের রানি তিনি। জয়রাম তাঁর স্বামীর পদবী। বিয়ের পর স্বামীর কর্মসূত্রে তিনি মুম্বই চলে যান। বসন্ত দেশাইয়ের প্রিয় পাত্রী ছিলেন তিনি। বসন্ত দেশাইয়ের মাধ্যমেই হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের ‘গুড্ডি’ ছবিতে হিন্দি গানে প্রথম প্লেব্যাক করার সুযোগ পান। জয়া ভাদুড়ির লিপে ‘বোল রে পাপিহরা’ গানটি খুবই জনপ্রিয় হয় তাঁর কণ্ঠে। এই গান বাণীকে নেপথ্যশিল্পী হিসেবেও পরিচিত দেয় বলিউডে। এনে দেয় একাধিক সম্মানও।
তবে সাত-আটের দশকে অনেক গান তিনি গাইলেও সেগুলো হিটের চুড়োয় পৌঁছয়নি। সে সময়ের বেশিরভাগ ধর্মীয় ছবিতেই বাণী কণ্ঠ দিয়েছেন। হেমা মালিনী অভিনীত গুলজারের ‘মীরা’ ছবিতে বাণী জয়রাম গান গেয়েছিলেন রবি শঙ্করের সুরে। লতার জমানায় মীরা ছবিতে সব গান বাণীই গেয়েছিলেন।
বাংলাতেও বাণী জয়রাম আধুনিক গানের রেকর্ড করেছিলেন। বাংলা গানে অসম্ভব হিট করেছিল বাণী জয়রামের গলায় ‘আমার রাধা হওয়া আর হল না, আবার মীরা হতেও আমি পারিনি, তবু শ্যামের ভজন আমি জীবনে কখনও ছাড়িনি।’
লতার দাপটে কোণঠাসা ছিলেন সুমন, বাণী! আক্ষেপ মেটাতে পারল কি শেষ জীবনের পদ্ম-স্বীকৃতি