
দ্য ওয়াল ব্যুরো, জলপাইগুড়ি: ফের প্রায় কোটি টাকা উদ্ধার (Money Recovery) হল রাজ্যে। এবার উত্তরবঙ্গ থেকে। রবিবার সন্ধেবেলা জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বিন্নাগুড়িতে বিহারের নম্বর প্লেট লাগানো একটি কালো রঙের গাড়ি থেকে মেলে ৯৩ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা। গভীর রাত পর্যন্ত মেশিন এনে টাকা গোনার পর্ব চলে।
পার্থ-অর্পিতাকে দিয়ে টাকা উদ্ধারের পর্ব শুরু হয় রাজ্যে। এরই মাঝে মালদহের এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় কয়েক কোটি টাকা। গার্ডেনরিচেও মেলে টাকার পাহাড়। এবার জলপাইগুড়ি।
বিহারের নম্বর প্লেট লাগানো একটি কালো রঙের গাড়ি জলপাইগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ারে বীরপাড়ার দিকে যাচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গাড়িটি আটক করে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ। তল্লাশি চালাতে গিয়ে গাড়িটির টায়ারের ভিতর থেকে ৯৪ টি কালো প্লাস্টিকে মোড়া টাকার বান্ডিল খুঁজে পায় পুলিশ। এরপর এই খবর দেওয়া হয় স্থানীয় একটি ব্যাঙ্কের কর্মীদের। রবিবার হওয়ায় ব্যাঙ্ককর্মীদের পৌঁছতে কিছুটা দেরি হয়। বেশি রাতে মেশিন নিয়ে এসে টাকা গুনতে শুরু করেন তাঁরা। গাড়িতে থাকা পাঁচজনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ।
শীতের সকালে নতুন অতিথি! জটিয়ার জঙ্গলে শাবকের জন্ম দিল মা হাতি
জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের সুপার বিশ্বজিৎ মাহাত জানান, টাকা উদ্ধারকাণ্ডে ধৃতরা কয়লা ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছে। এই টাকা তারা গৌহাটি নিয়ে যাচ্ছিল বলেও জানিয়েছে। তিনি জানান, গোপনসূত্রে খবর পেয়ে রবিবার তাঁরা বানারহাট থানার অন্তর্গত তেলিপাড়া চৌপত্থি মোড়ে নাকা তল্লাশি চালাচ্ছিলেন। সেই সময় খবর আসে ধূপগুড়ির দিক থেকে এশিয়ান হাইওয়ে ৪৮ হয়ে একটি কালো গাড়িতে করে বিপুল পরিমাণ টাকা পাচার হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে জেলার সবকটি চেকপোষ্টকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। এরপর বিন্নাগুড়ি ফাঁড়ির পুলিশ তেলিপাড়ায় বিহারের নম্বর প্লেট লাগানো এই গাড়িটি আটক করে। জানা গিয়েছে গাড়িটি বিহারের পূর্ণিয়া জেলার।
পুলিশ প্রথমে টাকা পাচারের বিষয়ে প্রশ্ন করলে গাড়িতে থাকা পাঁচজন জবাব এড়িয়ে যায়। এরপরই তল্লাশি চালাতে গিয়ে পুলিশ কর্মীরা গাড়ির মধ্যে অতিরিক্ত একটি টায়ার দেখতে পান। লোহার পাত দিয়ে সেই টায়ারটি খুলতেই বেরিয়ে আসে মোটা মোটা টাকার বান্ডিল। তারপরেই টাকা গুনতে ব্যাঙ্কে খবর পাঠানো হয়।
এসপি বলেন, “বানারহাট থানার ঘটনা পুলিশ তদন্ত করছে। এর পাশাপাশি যদি প্রয়োজন হয় তবে অন্যান্য এজেন্সির সাহায্যও আমরা নেব।”