
দ্য ওয়াল ব্যুরো: যাওয়ার কথা ছিল সিডনিতে। রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া, নদীর জলরাশি এসে ছুঁয়ে যাবে পা, সেখানেই ছুটি কাটাবেন ভেবেছিলেন কিংসলে বার্নেট। যথাসময়ে ফ্লাইটে উঠলেন, পৌঁছেও গেলেন গন্তব্যে। কিন্তু একী, কোথায় সমুদ্র! তার বদলে যে দিকে চোখ যাচ্ছে, শুধু তুষারাবৃত পাহাড়! এমন অঘটন ঘটল কী ভাবে? সিডনির প্রকৃতি এমন আমূল পাল্টে গেল কী করে? ধাতস্থ হওয়ার পর বুঝলেন, পুরোটাই নাম-বিভ্রাট। এক সিডনির বদলে তিনি পৌঁছে গেছেন একই নামের সম্পূর্ণ আলাদা জায়গায়।
ছুটি কাটানোর জন্য অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে (Sydney In Australia) যাওয়ার কথা ছিল নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা বার্নেটের। সেই মতো টিকিটও কেটেছিলেন তিনি। কিন্তু টিকিট কাটার সময় খেয়াল করেননি, অস্ট্রেলিয়ায় যেমন সিডনি রয়েছে, তেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরই মন্টানাতে রয়েছে সিডনি নামের আরও একটি জায়গা (Sidney In Montana)। বিমানবন্দরে দুটি জায়গার কোড নামের কারণে বিভ্রান্ত হয়ে যান বার্নেট। তিনি অস্ট্রেলিয়ার বদলে মন্টানার সিডনির টিকিট কেটে বসেন তিনি। সময় মতো পৌঁছেও যান সেখানে। কিন্তু বিমান থেকে নামার পরেই বুঝতে পারেন, কী বিপত্তি বাঁধিয়েছেন তিনি।
বার্নেট ঘটনার পুরো দায় চাপিয়েছেন বিমানবন্দরে দুটি জায়গার কোড নামের উপর। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার সিডনির ক্ষেত্রে কোড নাম হল এস-ওয়াই-ডি (S-Y-D)। মন্টানার সিডনির ক্ষেত্রে তা সামান্য এদিক ওদিক হয়ে হয়েছে এস-ডি-ওয়াই (S-D-Y)। তাড়াহুড়োতে এস-ওয়াই-ডির বদলে এস-ডি-ওয়াইএর টিকিট কেটে বসেন তিনি।
তিনি আরও জানিয়েছেন, টিকিট কাটার সময় তিনি চেষ্টা করছিলেন, কম দামের টিকিট খুঁজতে। স্বভাবতই সম্পূর্ণ অন্য মহাদেশের সিডনির তুলনায় একই দেশের অন্য রাজ্যের সিডনির টিকিটের দাম কম। তাই টাকা বাঁচাতে গিয়ে তিনি ভাল করে খেয়ালই করেননি, ঠিক জায়গার টিকিট কাটছেন কিনা।
মন্টানার সিডনিতে পৌঁছানোর পর ফেরার বিমান ধরার জন্য অতিরিক্ত টাকা খরচ করে হোটেল বুক করে সেখানে থাকতে হয়েছিল বার্নেটকে। সেই হোটেলের ম্যানেজার জানিয়েছেন, এমন ভুল যে বার্নেটই প্রথমবার করলেন, তা নয়। এর আগেও নাকি এক যাত্রী একই কারণে অস্ট্রেলিয়ার বদলে মন্টানার ওই হোটেলে রাত্রিবাস করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
বার্নেট জানিয়েছেন, ভুল যখন হয়েই গেছে, তখন আরও কয়েকদিন অপেক্ষার পর জুলাই মাসে ফের সিডনি যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তিনি।
ভূমিকম্পে মাটি ফেটে চৌচির, দু’টুকরো হয়েছে রানওয়ে, তুরস্কের বিমানবন্দরে ভয়াবহ দৃশ্য