
পেন্টাগন থেকে জানানো হয়েছে, ভারত সরকার তাদের কাছে ওই অস্ত্রগুলি কিনতে চেয়েছিল। নিজের প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করার জন্য ভারত ওই অস্ত্রগুলি ব্যবহার করবে। ওই মিসাইল ও টর্পেডো সহজেই ব্যবহার করতে পারবে ভারতীয় সেনা।
এর মধ্যে আমেরিকাকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট পাঠিয়েছে ভারত। গত রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। দু’কোটি ৯০ লক্ষ ডোজ ওষুধ চেয়েছিলেন তিনি। সেই ফোনের কথোপকথন নিয়ে বিশেষ হইচই না হলেও তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে কূটনৈতিক চাপানউতোর চরম পর্যায়ে পৌঁছয়।
সেই সময়ে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা চলছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, ভারতে তো ওষুধ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা চলছে। সেক্ষেত্রে ওষুধ না এলে কী হবে? স্বভাবসিদ্ধ ঢঙে ট্রাম্প বলে বসেন, “ভারত ওষুধ না পাঠালে বদলা নেওয়া হবে।”
কাকতালীয় ভাবে তারপর দিনই ওষুধ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে নয়াদিল্লি। এদিন মার্কিন মুলুকে ওষুধ পৌঁছনর পর তাকে স্বাগত জানিয়েছেন ট্রাম্প সমর্থকরা। লিখেছেন, “পৃথিবীর দুই শ্রেষ্ঠ গণতন্ত্র এবং দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এক হয়ে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। মার্কিনীদের পাশে দাঁড়াতে ভারতের এই উদ্যোগকে স্বাগত।”
করোনা চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনকেই ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করছেন চিকিৎসকরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগও তাতে অনুমতি দিয়েছে। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ৭০ শতাংশ উৎপাদন হয় ভারতে। তাই চাহিদাও প্রচুর। শুধু আমেরিকা নয়। ব্রাজিলেও এই ট্যাবলেট পাঠাচ্ছে ভারত সরকার।