
নতুন আইন অনুযায়ী, সোশ্যাল মিডিয়ায় কন্টেন্ট প্রকাশের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি সুরক্ষা ও সতর্কতা বজায় রাখতে একগুচ্ছ নিয়মও জারি করেছে কেন্দ্র। তার মধ্যে একটি হচ্ছে, কোথায় কোন ধরনের মতামত পোস্ট করা হচ্ছে, তার নজরদারির জন্য গ্রিভান্স, কমপ্লায়েন্স ও নোডাল অফিসার নিয়োগ করা। সংশ্লিষ্ট সংস্থাকেই এর দায়িত্ব নিতে হবে। তারপর সেই আধিকারিকের নাম-ঠিকানা পাঠাতে হবে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের হাতে।
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরে টালবাহানা চলার পর ফেসবুক, লিঙ্কডিন, হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড়সড় সংস্থাগুলি ইতিমধ্যে এইসমস্ত তথ্য কেন্দ্রকে দিয়েছে। কিন্তু টুইটার আংশিক পদক্ষেপ নেওয়ার পর আর গা করেনি। উলটে কিছুদিনের সময় চেয়েছে তারা।
সূত্রের খবর, শুক্রবার এই প্রেক্ষিতে সংস্থাকে একপ্রস্থ হুঁশিয়ারি দেয় বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক। হুকুম ফলানোর বদলে আইন মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়। যার জেরে গতকাল সন্ধেবেলা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের সঙ্গে তারা তড়িঘড়ি যোগাযোগ করে এবং নোডাল ও গ্রিভান্স অফিসারের নাম পাঠায়। কিন্তু কেন্দ্রের দাবি, একটি ল ফার্মে কর্মরত ওই আইনজীবী ভারতের নাগরিক কিংবা টুইটারের কর্মী নন। তা ছাড়া শর্ত অনুযায়ী কোনও কমপ্লায়েন্স আধিকারিককেও সংস্থার তরফে নিয়োগ করা হয়নি। অথচ এই পদটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েবসাইটে কোনও আপত্তিকর কনটেন্ট রয়েছে কিনা, তা দেখার এবং প্রয়োজনে সরানোর দায়িত্বে তিনিই থাকবেন। অর্থাৎ, সবমিলিয়ে আংশিক শর্ত মিটিয়ে দায় সেরেছে টুইটার।