
Ukraine Russia War Bengali তাইয়েবের শিকড় কোথায়?
হাবিবুর রহমানের বাড়ি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অদূরে গাজীপুরের কাপাসিয়ার পাবুর গ্রামে। প্রায় ৩৭ বছর ইউক্রেনের বাসিন্দা তিনি। কিয়েভে কাপড়ের ব্যবসা করেন। ব্যবসা সূত্রে পরিচয় কিয়েভের বাসিন্দা ইউক্রেনিয় ইলোনার সঙ্গে। ইউক্রেনে থেকে গিয়ে হাবিবুর সংসার পাতেন ইলোনার সঙ্গে। হাবিবুর ও ইলোনার বড় ছেলে তাইয়েব।
Russian Tanks: আমেরিকার ক্ষেপণাস্ত্রে ধ্বংস ২৮০ টি রুশ ট্যাঙ্ক
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে আজ শিরোনামে তাইয়েব। কিয়েভ থেকে হাবিবুর বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে ফোনে জানিয়েছেন, বড় ছেলে তাইয়েব কিয়েভের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র। রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের সমস্যা শুরু হওয়ার পর থেকেই এ অঞ্চলের অনেক সাধারণ মানুষের যুদ্ধে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তাঁর ছেলেও যেতে চাইছিলেন। কিন্তু তখন আমরা ওঁর কথায় তেমন গুরুত্ব দিইনি।
তিনি আরও বলেছেন, ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে হামলা চালায় রুশ বাহিনী। গোলার শব্দে ঘুম ভাঙে তাঁদের। টিফিন খেয়েই তাইয়েব যুদ্ধে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন।
হাবিবুরের কথায়, আমরা চাইনি ছেলে যুদ্ধে যাক। কিন্তু ছেলের জেদের কাছে হার মানতে হয়। ওঁর কথা আর যুক্তি শুনে আমরা আটকাতে পারিনি। হাবিবুর জানান, ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সিদের দেশের জন্য যুদ্ধ করার আইন আছে ইউক্রেনে। ছেলে সেই আইনের কথা বারে বারেই স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তাঁদের।
হাবিবুর জানিয়েছেন, তাঁর ছেলেকে ইউক্রেন বাহিনী সাদরে গ্রহণ করেছে। ওঁকে ইরপিন এলাকায় পাঠানো হয়েছে। ইরপিন কিয়েভ থেকে দেড়শো কিলোমিটার দূরের একটি প্রদেশ। সেখান থেকে সামরিক পোশাক পরা ছবিও পাঠিয়েছে তাইয়েব।
হাবিব ও তাঁর পরিবার বর্তমানে ইউক্রেনের নাগরিক। হাবিব জানিয়েছেন, দুই সন্তানকেই ছোটবেলা থেকে বাংলা শিখিয়েছেন তিনি। স্ত্রী-পুত্রদের নিয়ে নিজের মাতৃভূমি ঘুরেও গিয়েছেন।
কিয়েভ থেকে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘মন ভালো নেই আমাদের। আবার এটাও ভাবি, ছেলেটা বড় একটা কাজের জন্য গেছে। যে দেশে ছেলেটা জন্মাল, বড় হল, সেই মাতৃভূমিকে রক্ষা করার জন্য যুদ্ধ করতে গেছে। এটা বড় মনের পরিচয়। এই ভেবে মনে সাহস জোগাই।’