
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জিএসটি (GST) বাবদ দেশে রাজস্ব আদায় বাড়ছে প্রতি বছর। কিন্তু কাদের পকেট থেকে আয় বাড়ছে সরকারের?
আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফামের রিপোর্টে বদলে গেল জনপ্রিয় ধারণা। তারা জানিয়েছে, ভারতে আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা পঞ্চাশ শতাংশ নাগরিকের পকেট থেকেই আসে জিএসটি বাবদ আদায়ের দুই-তৃতীয়াংশ অর্থ।
কীভাবে এই অর্থ আদায় হয় তাদের কাছ থেকে? সংস্থাটি ভারতের রাজস্ব ব্যবস্থা এবং জিএসটির নয়া নিয়মাবলী বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছে বিভিন্ন পণ্য বিক্রির সময় ইনডিরেক্ট বা অপ্রত্যক্ষ কর বাবদ (Indirect Tax) এই অর্থ আর্থিকভাব দুর্বল অংশের থেকে কেটে নেওয়া হয়। সংস্থাটি তাই খাদ্যপণ্যের উপর জিএসটি কমানোর পরামর্শ দিয়েছে সরকারকে।
রিপোর্ট অনুসারে, মোট জিএসটির দুই-তৃতীয়াংশের একটু কম জনসংখ্যার নীচের ৫০ শতাংশ এবং মাঝের ৪০ শতাংশের কাছ থেকে এক-তৃতীয়াংশ ও ধনীদের থেকে মাত্র তিন-চার শতাংশ আদায় হয়ে থাকে।
২০২০-’২১ সালে জিএসটি বাবদ আদায় হয়েছিল ১৪.৭ লাখ কোটি টাকা। চলতি আর্থিক বছরে তা ১৮ লাখ কোটি টাকা স্পর্শ করতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, যে ৫০ শতাংশ নাগরিক জিএসটির সিংহভাগ দিয়ে থাকেন তারা মোট ব্যয়ের ৬.৭ শতাংশ খাবারের পিছনে খরচ করে। মধ্যবর্তী অবস্থানে থাকা উচ্চ আয়ের ৪০ শতাংশ মানুষ এই খাতে ব্যয় করে ৩.৩ শতাংশ। ধনীরা ব্যয় করে মাত্র ০.৪ শতাংশ।
প্রতিবেদনে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে সরকারের উচিত নিত্যপণ্যগুলির উপর জিএসটি হ্রাস করে বিলাশ দ্রব্যের উপর বসানো। এরফলে রাজস্ব আদায় বাড়বে আবার দরিদ্রদের আর্থিক বোঝাও কমবে।
অক্সফ্যাম সমস্ত ভারতীয় ধনপতিদের উপর সম্পদ কর চাপানোর পরামর্শ দিয়েছে। তারা একটি হিসাব দিয়ে দেখিয়েছে, ধনীদের উপর তিন শতাংশ হারে সম্পদ কর চাপালে ৩৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকা বাড়তি আদায় হবে যা ভারতের বৃহত্তম স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্প—জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অর্থের সংস্থান করতে সক্ষম হবে।
বিচারপতি নিয়োগ: কলেজিয়ামে কেন্দ্রের প্রতিনিধি রাখতে চেয়ে চন্দ্রচূড়কে চিঠি রিজিজুর