
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার তেলঙ্গানার ভেলিমালা এলাকার নারায়ণ রেসিডেন্সিয়াল কলেজের শৌচাগারে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ১৬ বছরের এক কিশোরীর। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছে মেয়েটি। কিন্তু তার পরিবারের অভিযোগ, কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের মেয়েকে খুন করে আত্মহত্যার গল্প সাজিয়েছে।
মৃতা কিশোরীর মায়ের অভিযোগ, মেয়ের বান্ধবীদের থেকে তিনি জেনেছেন, তাঁর মেয়ের দু’দিন ধরে খুব জ্বর ছিল। তার অসুস্থতা সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ করেননি কলেজ কর্তৃপক্ষ। বাড়িতে খবরও দেওয়া হয়নি। এর পরেই হঠাৎ শৌচাগার থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তার। মায়ের দাবি, অসুস্থ শরীরে ওইভাবে আত্মহত্যা করতেই পারে না তাঁদের মেয়ে। এর পেছনে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে।
মেয়ের এ ভাবে মৃত্যু তাঁর বাবা যে মেনে নিতে পারবেন না, সেটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। তাই মৃতার দেহ কফিন বন্দি করে নিয়ে যাওয়ার সময়ে পথে গড়িয়ে পড়েন বাবা। কান্নায় ভেঙে পড়েন হাউহাউ করে। আচমকা এমন হওয়ায় বাবার পিঠে সজোরে এক লাথি চালিয়ে দেয় অভিযুক্ত কনস্টেবল শ্রীধর। শুধু তাই নয়, শোকার্ত বাবাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ ওঠে। তাঁর স্ত্রী অর্থাৎ মৃতার মা কোনও রকমে এগিয়ে এসে পরিস্থিতি সামাল দেন।
দেখুন সেই ভিডিও।
#WATCH Telangana: Police personnel kicks father of a 16-yr-old girl who allegedly committed suicide on Feb 24 in her hostel in Sangareddy reportedly because college mgmt did not allow her to go home, although she was ill. A probe has been ordered against the personnel. (26.02) pic.twitter.com/OtxKYDMQ8Z
— ANI (@ANI) February 26, 2020
এমন অমানবিক ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন নেটিজেনরা। সাঙ্গারেড্ডির এসপি চন্দন দীপ্তি অবশ্য পুলিশের কাজের পক্ষে সাফাই দিয়ে বলেছেন, “ঘটনাস্থলে সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল। পুলিশ কাজ করতে পারছিল না। বিক্ষোভ সামাল দিতে গিয়েই এমন ঘটনা ঘটে গিয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে তদন্ত করে দেখা হবে।”