
নাদালও অনেকটা একই পথে হেঁটেছেন। বয়স বাড়ছে। সেই সঙ্গে চোখ রাঙাচ্ছে চোট-আঘাতের ঝুঁকিও। এই বিষয়টিকে সামনে রেখেই দু’বারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন টুইটে লেখেন, ‘এ বছর উইম্বলডন এবং টোকিও অলিম্পিকে আমি খেলছি না। সিদ্ধান্তটা মোটেও সহজ ছিল না। কিন্তু শরীরের অবস্থা বিবেচনা করে এবং টিমের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পর আমি বুঝতে পেরেছি, আমার সরে যাওয়াটাই ঠিক হবে।’
দ্বিতীয় টুইটে এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নাদাল জানান, ফরাসি ওপেন এবং উইম্বলডনের মধ্যে সময়ের ব্যবধান সামান্যই। মাত্র দু’সপ্তাহ। তা ওপর ক্লে কোর্টে খেলা এমনিতেই বেশ পরিশ্রমের। সেখানে একের পর এক লম্বা সেট লড়ে সেমিফাইনাল পর্যন্ত আসা এবং ফের একবার হাইভোল্টেজ ম্যাচে অংশ নেওয়ার পর শরীরের অবস্থা ভালো থাকে না। এবার সেটাই হয়েছে। তাই দীর্ঘমেয়াদি ফলের কথা চিন্তা করে নাম তুলে নেওয়া ছাড়া তাঁর কোনও উপায় ছিল না।
তবে শুধু উইম্বলডন নয়। টোকিও অলিম্পিকে অংশ না নেওয়াটাও নাদালকে হতাশ করেছে। টুইটে তা গোপনও করেননি স্প্যানিশ তারকা। এর আগে তিনবার দেশের হয়ে অলিম্পিকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। সেকথা জানিয়ে নাদাল লেখেন, ‘এই টুর্নামেন্ট আমার খুব কাছের। বিশ্বের যে কোনও খেলোয়াড়ই অলিম্পিককে মর্যাদা দিয়ে থাকেন।’
উল্লেখ্য, ৩৫ বছরের রাফায়েল নাদাল ২০০৮ সালে রজার ফেডেরার এবং ২০১০-এ টমাস বার্ডিচকে পরাজিত করে উইম্বলডন খেতাব জেতেন। ২০০৬, ২০০৭ এবং ২০১১-তে তিনি ফাইনালেও উঠেছিলেন। কিন্তু প্রথম দু’বার ফেডেরার এবং শেষবার নোভাল জকোভিচের কাছে হেরে যান। এ বছরের ফরাসি ওপেনের সেমিফাইনালেও সেই জকোভিচের কাছেই পরাজিত হয়ে কোর্ট ছেড়েছেন নাদাল।