
সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তরফে জানানো হয়, ওই ধরনের আরও সুড়ঙ্গ খোঁড়া হয়েছিল কিনা জানার চেষ্টা হচ্ছে। জঙ্গিদের ভারতে ঢোকানো ও মাদক চোরাচালানের জন্য সম্ভবত ওই সুড়ঙ্গ ব্যবহার করা হত। বিএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল রাকেশ আস্থানা ফ্রন্টিয়ার কম্যান্ডারদের নির্দেশ দিয়েছেন, সীমান্তে যেন নজরদারি বাড়ানো হয়।
গত বৃহস্পতিবার সীমান্তে সাম্বা সেক্টরে বিএসএফ জওয়ানরা সুড়ঙ্গটি খুঁজে পান। ভারতের দিকে তার দৈর্ঘ্য ৫০ মিটার। সুড়ঙ্গের মুখ প্ল্যাস্টিকে নির্মিত বালির বস্তায় ঢাকা ছিল। সেই বস্তার ওপরে পাকিস্তানের কোম্পানির ছাপ দেওয়া আছে।
সাম্বা সেক্টরে গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি চলছে। তাতে কয়েকটি জায়গায় মাটি বসে গিয়েছিল। তা দেখেই বিএসএফ কর্মীদের সন্দেহ হয়, সেখানে সুড়ঙ্গ থাকতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে আর্থ মুভার মেশিন আনা হয়। তখনই পুরো সুড়ঙ্গটি দেখা যায়। বিএসএফের বক্তব্য, সুড়ঙ্গটি ছিল ২৫ ফুট গভীর। তা তৈরি করা শেষ হয়নি। তার আগেই জানাজানি হয়ে গিয়েছে।
সুড়ঙ্গের কথা শুইনে ঘটনাস্থলে যান বিএসএফের ইনস্পেকটর জেনারেল এন এস জামওয়াল। পরে একটি সূত্র থেকে জানা যায়, সুড়ঙ্গের মুখে যে আট-দশটি বালির বস্তা পাওয়া গিয়েছিল, তার ওপরে লেখা আছে, করাচি ও শকরগড়। যেখানে সুড়ঙ্গ আবিষ্কৃত হয়েছে, তার থেকে ৭০০ মিটার দূরে রয়েছে পাকিস্তানের বর্ডার পোস্ট। তার নাম গুলজার।
৩৩০০ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর এখন বিএসএফকে সতর্ক করা হয়েছে। জম্মু, পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং গুজরাতের সীমান্ত দিয়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক সীমান্ত। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, সীমান্তের ওপারে তৎপর হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসবাদীরা। তারা ভারতে অনুপ্রবেশের মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএসএফ সূত্রে খবর, সীমান্তে যে এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি, সেখানে পাঠানো হয়েছে গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং রেডার। তার মাধ্যমে বোঝা যাবে, সীমান্তে সুড়ঙ্গ খোঁড়া হয়েছে কিনা। জম্মু সীমান্তে এর আগেও সুড়ঙ্গ খোঁড়ার চেষ্টা হয়েছিল। গত জুন মাসে জম্মুর কাঠুয়া জেলায় ড্রোন মারফৎ সেমি অটোমেটিক কার্বাইন ও চিনা গ্রেনেড পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল। বিএসএফ গুলি করে ড্রোনটিকে নামায়।