Latest News

তুঘলকি কায়দায় লকডাউন করা হয়েছিল, তাতে ক্ষতি হয়েছে গরিবের, তোপ রাহুল গান্ধীর

দ্য ওয়াল ব্যুরো : “প্রথমে তারা তুঘলকি কায়দায় লকডাউন করল। লক্ষ লক্ষ শ্রমিক দুর্দশায় পড়লেন। মনরেগা প্রকল্পে যে আয় করেছিল, তাও তারা ব্যাঙ্ক থেকে তুলতে পারল না। মোদী সরকার মুখে বড় বড় কথা বলছে। কিন্তু গরিবদের জন্য কিছুই কাজ করেনি।” শুক্রবার এই ভাষায় কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী।

গত বুধবার মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্ব নিয়ে রাহুল কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, মানুষ প্রতিদিন ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাঁর কথায় “ব্যাঙ্কগুলি সমস্যায় পড়েছে। জিডিপি সম্পর্কেও একই কথা বলা যায়। আগে কখনও মূল্যবৃদ্ধি এত বেশি হয়নি। মানুষ হতাশ হয়ে পড়ছেন। একে কি উন্নয়ন বলে?”

সম্প্রতি বিহারে বিধানসভা নির্বাচন ও কয়েকটি রাজ্যে উপনির্বাচনে খারাপ ফল হয়েছে কংগ্রেসের। ভোটের আগে আসন বাছাই ও সাংগঠনিক দুর্বলতা, এই দু’টি বিষয় নিয়ে বুধবার মুখ খোলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। একটি সংবাদপত্রের সাক্ষাৎকারে চিদম্বরম বলেন, বিহারে কংগ্রেসের আরও বেশি আসনে লড়াই করা উচিত ছিল। তাঁর মতে, বিহারের ভোট প্রমাণ করেছে, সিপিআই এম এল বা এআইএমআইএমের মতো ছোট দলও তৃণমূল স্তরে সংগঠন গড়ে তুলতে পারে। তাই তারা ভোটে ভাল ফল করেছে। তাঁর কথায়, “বিজেপি জোট যতগুলি আসন পেয়েছে, বিরোধীরাও ততগুলিই পেতে পারত। কিন্তু সেজন্য তাদের তৃণমূল স্তরে সংগঠন গড়ে তুলতে হত।”

বিহারের ভোট সম্পর্কে তিনি বলেন, “কংগ্রেসকে মাত্র ২৫ টি আসন দেওয়া হয়েছিল। ওই আসনগুলিতে বিজেপি এবং তার শরিকরা গত ২০ বছর ধরে জিতে আসছে। কংগ্রেসের উচিত ছিল ওই আসনগুলি থেকে লড়তে অস্বীকার করা। আমাদের অন্তত ৪৫ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত ছিল।”

গত সোমবার দলের আর এক শীর্ষস্থানীয় নেতা কপিল সিব্বল বলেন, এখন কংগ্রেসের সংগঠনকে চাঙ্গা করে তুলতে হবে। যাঁরা অভিজ্ঞ, রাজনীতি বোঝেন, তাঁরা এই কাজ করবেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, “এখন আর ভাবার সময় নেই।”

তাঁর কথায়, “অবিলম্বে কয়েকটি স্তরে কিছু কিছু কাজ করতে হবে। সাংগঠনিক কাজ করতে হবে। আরও নানা স্তরে কাজ করতে হবে। আমাদের চাই সক্রিয় ও বিচক্ষণ নেতৃত্ব। সবদিক ভেবে কাজে হাত দিতে হবে।” পরে তিনি বলেন, “কংগ্রেস কর্মীদের বুঝতে হবে, আমাদের দলের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে।”

You might also like