
গত ২১ অক্টোবর কানাডায় ফেডারেল ভোট হয়। এটি দেশে ৪৩ তম সংসদীয় নির্বাচন। এই ভোটে হাউস অব কমনসের প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হয়েছেন। ভারতীয় সময় অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ কানাডার ভোটের ফল জানা যায়।
ফেডারেল ভোটে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল লিবারাল ও কনজারভেটিভ পার্টি। এছাড়া ছিল গ্রিন পার্টি ও নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। কনজারভেটিভদের নেতা হলেন অ্যান্ড্রু শিয়ার।
হাউস অব কমনসে আসনের সংখ্যা ৩৩৮ টি। ১৭০ টি আসন পেলে কোনও দল গরিষ্ঠতা লাভ করে। এর আগে ভোট হয়েছিল ২০১৫ সালে। ত্রুদোর লিবারাল পার্টি পেয়েছিল ১৭৭ টি আসন। বিরোধী কনজারভেটিভরা পেয়েছিল ৯৫ টি। এবার ত্রুদোর দল পেয়েছে ১৫৭ টি আসন। কনজারভেটিভদের আসন বেড়ে হয়েছে ১২১ টি।
ত্রুদো এদিন দলের সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, সারা দেশের মানুষ বিভাজনের রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাঁরা প্রগতিশীল কর্মসূচির পক্ষে ভোট দিয়েছেন। মানুষ চান, পরিবেশ রক্ষার জন্য সরকার অবিলম্বে ব্যবস্থা নিক।
২০১৫ সালের নভেম্বরে ত্রুদো প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। ৪৭ বছরের ত্রুদোর বাবা পিয়েরে ত্রুদো ছ’য়ের দশকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ভোটের প্রচারের সময় তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি কেলেংকারির অভিযোগ উঠেছিল। শিয়ার সেই অভিযোগগুলি নিয়ে প্রচারও করেছিলেন। কিন্তু ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে তাতে বিশেষ লাভ হয়নি।
শিয়ার ভোটের আগে স্বীকার করেছিলেন, তিনি কানাডা বাদে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রেরও নাগরিক। কানাডায় অবশ্য কারও দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকলে প্রধানমন্ত্রী হতে বাধা নেই। ভোটের ফলাফল দেখে বোঝা যাচ্ছে, লিবারাল পার্টির প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে ভোটারদের একাংশ নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে ভোট দিয়েছেন। এই দলটির নেতা গুরমিত সিং। এলিজাবেথ মে-র গ্রিন পার্টিও কিছু ভোট পেয়েছে।
https://www.four.suk.1wp.in/pujomagazine2019/%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9a%e0%a7%80%e0%a6%a8-%e0%a6%b8%e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a7%8b%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d/