
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ত্রিপুরার (Tripura) উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মার ছেলে প্রতীক দেববর্মার কাণ্ডকারখানা নিয়ে বেজায় বিপাকে বিজেপি। বৃহস্পতিবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় দফায় দফায় যে কাণ্ড ঘটিয়েছেন জিষ্ণু-পুত্র তার সিসিটিভি ফুটেজও বেরিয়ে গিয়েছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিপ্লব দেব সরকারের বিরুদ্ধে রে রে করে নেমেছে তৃণমূল। কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ত্রিপুরার প্রধান বিরোধী দল সিপিএম-ও।
কী করেছেন ত্রিপুরার (Tripura) উপমুখ্যমন্ত্রীর ছেলে?
জানা গিয়েছে, ত্রিপুরার একমাত্র পাঁচতারা হোটেল পোলো টাওয়ার্সে উঠেছে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে ওই হোটেলের পানশালায় যান প্রতীক। কয়েক পাত্তর মদ্যপান করার পর ওখানে বসে থাকা মহিলাদের সামনে নাচানাচি শুরু করেন। সেখান থেকে তাঁকে হোটেলকর্মীরা সরিয়ে দিলে তিনি সোজা ঢুকে যান ডাইনিংয়ে। সেই সময়ে সেখানে ডিনার করছিলেন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য কংগ্রেসের বর্ষীয়ান সাংসদ দ্বিগবিজয় সিং, আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিং। অভিযোগ, তাঁদের গিয়ে হেনস্থা করেন প্রতীক।
গ্রুপ-সি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এবার কি মাথারাও, কৌতুহল বিচারপতির মন্তব্যে
এই হোটেলটি আগরতলা মূল শহরের সামান্য বাইরে। বিমানবন্দর থেকে আগরতলা শহর ঢোকার রাস্তার উপর অসম রাইফেলসের ৬৮ সেক্টরের দফতর। তার গায়েই এই হোটেল। উল্টোদিকে পুরনো রাজভবন। ১০০ মিটার দূরে সরকারি সার্কিট হাউস। এ হেন জায়গায় উন্মত্ত তাণ্ডব চালান উপমুখ্যমন্ত্রীর ছেলে।
অভিযোগ, শুধু ওই হোটেলেই নয়। সেখান থেকে তাঁকে বাউন্সাররা বের করে দেওয়ার পর গোর্খাবস্তি এলাকায় তাঁর যে নিজের হোটেল সেখানে এক সুইগির ডেলিভারি বয়কে মারধর করেন তিনি।
তারপর সেখান থেকে চলে যান কুঞ্জবন স্পোর্টিং ক্লাবে। ক্লাবের এক কর্তাকেও প্রতীক মারধর করেন বলে অভিযোগ।
এই ঘটনা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই বিরোধীরা সমালোচনায় মুখর হয়েছে। তৃণমূলের কাকলি ঘোষ দস্তিদার থেকে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যরা সিসিটিভি ফুটেজ টুইট করে লিখেছেন, বিপ্লব দেবের রাজত্বে গুন্ডারাজ চলছে। উপমুখ্যমন্ত্রীর ছেলের মস্তানি প্রমাণ করে দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই।
সিপিএমের ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, ‘আজকে সাংসদরা আক্রান্ত হয়েছে বলে বিষয়টা সামনে আসছে। নইলে যিষ্ণু দেববর্মার ছেলে প্রায়ই এমন কাণ্ড করেন। উনি পরিচিতি অ্যান্টিসোশ্যাল।’ জিতেন্দ্র আরও বলেন, সাংসদদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব ত্রিপুরা পুলিশের। কিন্তু তারা সেটা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
গোটা ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে বিজেপি। শুক্রবার সন্ধে পর্যন্ত ওই ঘটনায় পুলিশ কোনও অভিযোগ দায়ের করেছে বলেও খবর নেই।