
তিনি আরও বলেন, “অবিলম্বে উপনির্বাচন করা হোক। যাদের কাছে ২১৩ আসন রয়েছে তারা ভয় পায় না। আমাদের রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে। উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হোক।”
এদিনই বাংলায় উপনির্বাচন প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, “বিজেপি রাস্তায় নামলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে কোভিড বিধির দোহাই দিয়ে। ভোট হলে তো প্রচার করতে দিতে হবে। সেই পরিস্থিতি বাংলায় নেই। আগে সেই পরিস্থিতি হোক, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক তারপর তো ভোট হবে। নইলে ভোট হবে কী ভাবে?”
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার উপনির্বাচনের দাবি জানিয়েছিলেন। মাস দেড়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বাংলায় কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। কমিশন চাইলে সাত দিনের নোটিসে ভোট করাতে পারে। তারপর এও বলেছিলেন, আমি তো দেখলাম ভবানীপুরে কোথাও কোথাও করোনা শূন্য।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে নন্দীগ্রামে পরাজিত হয়েছেন। যদিও তা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা চলছে। তবে তাঁকে ছ’মাসের মধ্যে অন্য কেন্দ্র থেকে জিততে হবে। দিদি যে ভবানীপুর থেকে লড়বেন তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কারণ ভবানীপুরের জয়ী বিধায়ক তথা বিদ্যুত্মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বিধায়ক পদ ইস্তফা দিয়েছেন। তিনি লড়বেন খড়দহ থেকে।
তৃণমূলের অনেকের সন্দেহ, বিজেপি চাপ দিয়ে বাংলায় উপনির্বাচন আটকে রেখেছে। যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রী থাকা নিয়ে জটিলতা তৈরি করা যায়। তৃণমূল ইতিমধ্যে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরেও উপনির্বাচনের দাবি জানিয়ে এসেছে। এদিন ফের কমিশনে যাওয়ার কথা বললেন পার্থ।