
শনিবার ফতোরদা স্টেডিয়ামের ম্যাচটি জিতলে বাগান শিবির আইএসএলের শীর্ষে চলে যেত ১৮ পয়েন্ট অর্জন করে। কিন্তু আচমকা করোনা হানা সবটাই বানচাল করে দিয়েছে। যদিও দলের কে সংক্রমিত হয়েছেন, সেটি প্রথমে গোপন রাখা হয়েছিল। যদিও ফেডারেশন সূত্রে বিকেল পাঁচটা নাগাদ বলে দেওয়া হয়েছে, এটিকে মোহনবাগান শিবিরে প্রাণভোমরা রয় কৃষ্ণ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
Fijian superstar ATKMB forward Roy Krishna has reportedly been tested positive for covid-19 due to that today's atkmb match against Odisha has also been postponed.
We wish him a speedy recovery🙌#ATKMohunBagan #JoyMohunBagan #covid_19 #IndianFootball #allindiafootball pic.twitter.com/2flEWE2Nvj
— All India Football (@AllIndiaFtbl) January 8, 2022
পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে ফেডারেশন ও এফডিএলএল কর্তৃপক্ষ। তারা বৈঠকে বসে ঠিক করবে আইএসএল চালিয়ে যাওয়া ঠিক হবে কিনা। কারণ বায়োবাবলের মধ্যে একজন সংক্রমিত মানে কেউই ঝুঁকিহীন নয়।
LEAGUE STATEMENT
Hero Indian Super League (ISL) has decided to postpone Match No. 53 between ATK Mohun Bagan and Odisha FC scheduled to be played today, Saturday, January 8, 2022, at PJN Stadium in Fatorda. The League will look to reschedule the fixture to a later date. (1/3) pic.twitter.com/UllSfAeRxW
— ATK Mohun Bagan FC (@atkmohunbaganfc) January 8, 2022
গোটা দেশেই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের দাপটে নাজেহাল। দেশের করোনার সংক্রমণ দৈনিক হার দেড় লাখ ছুঁয়ে ফেলেছে। আইএসএলও বাঁচল না কোভিড স্রোত থেকে।
বাগান ফুটবলার রয় কৃষ্ণ করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরই তড়িঘড়ি লিগের মেডিক্যাল আধিকারিকরা বৈঠকে বসেন লিগ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। সেই আলোচনাতেই শনিবারের খেলা স্থগিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কর্তৃপক্ষের নজরে উঠে এসেছে শনিবারের খেলাই। দুই দলের সকলের আরটিপিসিআর পরীক্ষা করার পরেই বাগান শিবিরে ফিজি তারকার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তারপরেই খেলা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। দেখা হচ্ছে আর কেউ সংক্রমিত হয়েছেন কিনা।
লিগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সমস্ত দলের প্রত্যেক ফুটবলার, সাপোর্ট স্টাফ সহ সকলের স্বাস্থ্য নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে লিগ কমিটি।”
সব থেকে অবাক করার মতো বিষয়, বায়ো বাবলের মধ্যে থেকেও ফুটবলাররা কিভাবে সংক্রমিত হয়েছেন, সেটিও সমান রহস্যের। তার মানে হোটেলে থাকাকালীন ফুটবলাররা কেউ কেউ বাইরে বেরচ্ছেন, মার্কেট প্লেস বা অন্য কোনও স্থানে ঘুরছেন। সেই থেকেই ভাইরাস নিয়ে এসে থাকবেন মনে করা হচ্ছে।