
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: কেরল বেড়াতে গিয়ে অব্যবস্থার শিকার চন্দননগর পুরসভার এক কাউন্সিলর ও তাঁর পরিবার। এবার তারই রেশ পড়ল সেই ভ্রমণ সংস্থার অফিসে। অভিযোগ, চুঁচুড়ার (Chinsura) ওই ট্রাভেল এজেন্সির (travel agency) অফিসে ঢুকে তর্কাতর্কি, হুজ্জুতি (threat) শুরু করে জনা তিরিশেক যুবক। যারা সবাই এলাকায় তৃণমূল (TMC) কর্মী বলেই পরিচিত।
জানা গেছে, প্রায় ১৫টি বাইক নিয়ে ওই অফিসে গিয়ে হুমকি-শাসানি দিচ্ছিল যুবকরা। এরমধ্যে একটি বাইকে ছিল পুলিশের স্টিকার লাগানো। আর বাকিগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ বাইকেই তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা লাগানো ছিল। যদিও পরে পুলিশ চলে আসায় বড়সড় কোনও বিপত্তি হয়নি। তবে এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কে ভুগছেন ওই ভ্রমণ সংস্থার মালিক।
জানা গেছে, পর্যটকদের একটি দলকে দশ দিনে আড়াই লক্ষ টাকার চুক্তিতে কেরল বেড়াতে নিয়ে গেছে ওই সংস্থা। তাদের মধ্যে রয়েছেন চন্দননগর পুরসভার এক কাউন্সিলরও। ভ্রমণ সংস্থার মালিক অলোক পাঠকের পাল্টা অভিযোগ, বাকি পর্যটকদের কোনও অসুবিধাই হয়নি। শুধু কাউন্সিলর ও তাঁর সঙ্গীদের আবদার মানা হয়নি বলেই যত সমস্যা। কাউন্সিলরের ওই হোটেল পছন্দ হয়নি। তাই সেখান থেকে ফোন করেই হুমকি দিচ্ছেন, অফিসে নিজের লোক পাঠিয়ে শাসানি দেওয়াচ্ছেন।’
এরপর অলোকবাবু বলেন, ‘আমি ২৬ বছর ধরে ভ্রমণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। এলাকায় এই সংস্থার একটা সুনাম রয়েছে। একজন তৃণমূল কাউন্সিলর ও চন্দননগরের এক প্রমোটার পরিবার নিয়ে বেড়াতে গেছেন।যদি তাঁদের ঘুরতে গিয়ে সমস্যা হয়, তাহলে তো ওঁরা আমার বিরুদ্ধে অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে থানায় যেতে পারতেন। আদালতে মামলা করতে পারতেন। তার বদলে অফিসে চড়াও হলে তো সুরাহা হবে না।’