
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মিড ডে মিলের (mid day meal) দায়িত্বে থাকা পাঁচজনের বেতন কীভাবে সাতজনের মধ্যে ভাগ হচ্ছে, সেই প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ফের মহিলাদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। মহাকাব্য মহাভারতের অন্যতম প্রধান নারী চরিত্র দ্রৌপদীকে টেনে আনলেন বাংলায়। বললেন, “দ্রৌপদীকে বিয়ে করে আনার পর কুন্তী তাঁকে না দেখেই বলেছিলেন, যা এনেছ তা পাঁচ ভাই ভাগ করে খাও। আমাদের পশ্চিমবঙ্গ, তথা ভারতের সংস্কৃতি হচ্ছে, স্ত্রীকেও পাঁচজন স্বামী ভাগ করে খেতে পারেন।”
ব্যস! এরপরই তোলপাড় শুরু হয়ে যায় রাজ্যে। তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে মহিলাদের নিয়ে তীব্র আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগ তোলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। বলেন, একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যে তাঁর দলেরই বিধায়ক নারীদের নিয়ে এমন নোংরা, কদর্য মন্তব্য করছেন। এটা তো গোটা রাজ্যের মহিলাদের লজ্জা।
যদিও এরপরই আসরে নামে তৃণমূল। দলের অন্যতম মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) টুইট করে মদন মিত্রের এহেন মন্তব্যের তীব্র ভাষায় নিন্দা করেন। তিনি লেখেন, “মিড ডে মিল সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মদন মিত্র যা বলেছেন তার তীব্র নিন্দা করছি। শব্দচয়ন ও বাক্য গঠনের ক্ষেত্রে সকলেরই অনেক বেশি দায়িত্বশীল ও সতর্ক হওয়া উচিত। মহাকাব্যের বিভ্রান্তিকর তালজ্ঞানহীন ব্যাখ্যামুলক তুলনা কাম্য নয়।”
উল্লেখ্য, মিড ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সম্প্রতি বাংলায় এসেছে কেন্দ্রীয় দল। একাধিক জেলায় স্কুলে স্কুলে পরিদর্শন চলছে। এর মধ্যেই মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার একটি স্কুলে মিড ডে মিল পরিবেশনের দায়িত্বে থাকা পাঁচজনের বেতন সাতজন ভাগ করে নিচ্ছেন বলে জানতে পারেন কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা। যা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। এরপর বিকেলে সাংবাদিকরা সেই প্রসঙ্গে মদন মিত্রকে প্রশ্ন করতেই তিনি সটান দ্রৌপদীকে টেনে আনেন।
টেটের ওএমআর শিট সুরক্ষিত আছে, মঙ্গল-সন্ধেয় বিজ্ঞপ্তি জারি পর্ষদের