
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আদানি ইস্যুতে সংসদে সরকারকে চেপে ধরতে সোমবার সকালে কংগ্রেস (Congress) সভাপতি তথা দলের রাজ্যসভার নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গের ঘরে ১৬টি বিরোধী দল বৈঠকে বসে। গত সপ্তাহের তুলনায় আজ একটি দল কম ছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) কেউ আজকের এই বৈঠকে যোগ দেয়নি।
বৈঠকের আগে সংসদ চত্বরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিরোধীদের বিক্ষোভ সমাবেশে হাজির ছিলেন তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তাঁর হাতে ছিল সেভ এলআইসি, সেভ এসবিআই লেখা প্ল্যাকার্ড।
অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ফের স্পষ্ট করল, তারা বিজেপি বিরোধিতায় যৌথ আন্দোলনে আছে, কিন্তু কংগ্রেসের ছাতার তলায় নেই। সাম্প্রতিক অতীতে নানা ইস্যুতে এই অবস্থান নিয়েই চলছেন তৃণমূল নেত্রী। কংগ্রেস ও বাম নেতৃত্ব তৃণমূলের এই অবস্থানকে ফের দিদি-মোদী বোঝাপড়া বলে আক্রমণ করতে শুরু করেছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরীর কটাক্ষ, ‘নিশ্চয়ই মোদী ভাই ফোন করেছেন দিদি ভাইকে।’
গত সপ্তাহে খাড়্গের ডাকা প্রথম বৈঠকে তৃণমূলের দুই প্রবীণ সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডেরেক ও ব্রায়েন উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু পরের দিন থেকেই খাড়্গের ঘরে বৈঠকে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন তাঁরা।
সোমবার খাড়্গের ঘরে বৈঠকের সিদ্ধান্ত মতো কংগ্রেস এবং আরও কয়েকটি দল অধিবেশনের বাকি কর্মসূচি স্থগিত রেখে আদানি ইস্যুতে আলোচনা চেয়ে মুলতবি প্রস্তাব পেশ করেছে সংসদের দুই কক্ষেই।
কংগ্রেস সভাপতির ঘরে অনুষ্ঠিত সোমবারের বৈঠকে অংশ নেওয়া দলগুলির মধ্যে ছিল কংগ্রেস, ডিএমকে, এনসিপি, বিআরএস, জেডিইউ, এসপি, সিপিএম, সিপিআই, জেএমএম, আরএলডি, আরএসপি, এএপি, আইইউএমএল, আরজেডি এবং শিবসেনা।
তৃণমূল কংগ্রেস সদস্যরা এই বৈঠক এড়িয়ে গেলেও গান্ধী মূর্তির বাইরে বিরোধী নেতাদের বিক্ষোভে যোগ দেন।
বিরোধী সাংসদদের হাতে ধরা ব্যানারে লেখা, ‘আমরা আদানি কেলেঙ্কারির তদন্তে সংসদের যৌথ তদন্ত কমিটি বা জেপিসি চাই। অথবা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির তত্ত্বাবধানে তদন্ত কমিটি গড়তে হবে।
তৃণমূলের ছাত্রনেতা শুভদীপ ধর্ষণ মামলায় অস্বস্তিতেই, সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ