
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রচারে বেরিয়ে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে হাজির হলেন পুরভোটের তৃণমূল প্রার্থী। কলকাতা পুরসভার ৯৩ নম্বর ওয়ার্ড। ওয়ার্ডটি এবছর মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। তৃণমূলের প্রার্থী মৌসুমী দাস। বিখ্যাত সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় তাঁর ওয়ার্ডেরই যোধপুর পার্কের বাসিন্দা। প্রচারে বেরিয়ে তাঁর বাড়িতে গিয়ে পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিলেন। সঙ্গে ছিলেন বিদায়ী কো-অর্ডিনেটর রতন দে। মৌসুমী জানালেন, শীর্ষেন্দুবাবু তাঁকে আশীর্বাদ করেছেন। বলেছেন,’ভাল করে কাজ করো। আমি তোমার পাশে আছি।’
পুরভোটে তৃণমূলে এবার প্রচুর নতুন মুখ। মোট প্রার্থীর ৪৫ শতাংশই মহিলা। তাদেরই একজন মৌসুমী। পার্ক সার্কাস মর্ডান স্কুলের শিক্ষিকা। কিন্তু আপাতত নিজেই বাধ্য পড়ুয়ার মতো দিন-রাত শিখছেন পুরভোটের অ,আ,ক,খ। সকাল-বিকেল প্রচারে বেরোচ্ছেন। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন।
কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত ওয়ার্ডগুলির মধ্যে তুলনায় বড় এই ওয়ার্ডে রয়েছে লেকগার্ডেন্স, গড়িয়াহাট রোড (দক্ষিণ), যাদবপুর সেন্ট্রাল রোড এলাকা। রয়েছে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড, এবং ঢাকুরিয়ার কিছু অংশ। সেইসঙ্গে যোধপুর পার্ক, সাউথ সিটি, পোদ্দারনগর, কাটজুনগর বিক্রমগরের কিছু অংশ জুড়ে রয়েছে এই ওয়ার্ড।
ওয়ার্ডের সমস্যাগুলির মধ্যে অন্যতম পার্কিং, যত্রতত্র আবর্জনা এবং বস্তি এলাকায় পানীয়জলের অপ্রতুলতা। বিষয়টিতে প্রার্থী মৌসুমী বললেন, ‘এই ওয়ার্ডে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক স্তরের মানুষ থাকেন। আবসনগুলিতে পার্কিংলট আছে। মূলত বাজার এলাকাতে পার্কিংয়ে সমস্যা হতে পারে। দায়িত্ব পেলে সেগুলো মেটানোর ব্যবস্থা করব।’
৯৩ ওয়ার্ডে আবাসন বেশি। ব্যক্তিগত বাড়িও কম নয়। সেই সঙ্গে রয়েছে কলোনী এলাকা। ওই এলাকাগুলিতে বহু চারতলা ফ্ল্যাটবাড়ি তৈরি হয়েছে। কিছু কো-অপারেটিভ আবাসনও রয়েছে। রয়েছে গোবিন্দপুর, রঙকল, মোল্লাপট্টি ও ডোমপাড়া বস্তি। যেখানে পানীয়জলের সমস্যা রয়েছে। সকাল-বিকেল পুরসভার জল এলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম বলে দাবি এলাকার লোকজনের। মৌসুমী জানালেন, ‘এখানে গার্ডেনরিচের জল আসছে। তবে পানীয় জলের সমস্যা কিছুটা রয়েছে। জলের ফ্লো বাড়ানোর জন্য সবরকম ব্যবস্থা করবে।’
বস্তি এলাকায় পুরসভার কোনও স্কুল নেই। আয়তনে বেশ বড় ওয়ার্ড হলেও পুর-স্বাস্থ্যকেন্দ্র একটিই। নির্বাচিত হলে এই সমস্যাগুলি মেটাবেন বলে দাবি মৌসুমীর। সেইসঙ্গে ওয়ার্ডকে আবর্জনামুক্ত করবেন বলে জানালেন। বললেন, ‘এলাকার সবুজায়নের দিকেও নজর দেব। আরও গাছপালা লাগাব। বৃষ্টি হলে লেকগার্ডেন্স এলাকায় জল জমে সেই সমস্যাও মেটাতে চাই।’
প্রচারে সাড়া কেমন পাচ্ছেন? উত্তরে মৌসুমী জানালেন, মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিচ্ছেন। বিদায়ী কো-অর্ডিনেটর রতন দে অভিভাবকের মতো সাহায্য করছেন। লোকজনের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিচ্ছেন।
জিতলে স্কুলে পড়ানোর পাশাপাশি ওয়ার্ডের কাজ করতে হবে, সময় বের করবেন কীভাবে? মৌসুমী বললেন, ‘আমি সেসব প্ল্যান করে রেখেছি। সকালে দু’ঘন্টা ওয়ার্ডের জন্য দেব। তারপর স্কুলে যাব। স্কুল থেকে ফিরে সন্ধে ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ওয়ার্ড অফিসে থাকব। সময় দেওয়া নিয়ে সমস্যা হবে না।’ আর মোবাইল তো ২৪ ঘণ্টা এখনই খোলা থাকে, তখনও থাকবে।