
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জহর সরকারকে (Jahar Sarkar) তৃণমূলের রাজ্যসভার গ্রুপ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল শনিবার বিকেলে। কয়েকদিন আগে দলের একাংশের দুর্নীতি নিয়ে সরব হওয়া সাংসদ তা নিয়ে মন্তব্য করেননি। সন্ধে নাগাদ জানা গেল, পুরনো গ্রুপ থেকে প্রাক্তন আমলাকে বাদ দিলেও পরে আবার তাঁকে ফেরানো হয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্যসভার সাংসদদের নিয়ে নতুন একটি গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে যুক্ত করা হয়েছে জহর সরকারকে। যদিও তৃণমূলের (TMC) দাবি, তাঁকে বাদ দেওয়া হয়নি। পুরনো গ্রুপ বন্ধ করে নতুন গ্রুপ খোলা হয়েছে।
সূত্রের খবর, জহরকে বাদ দেওয়া নিয়ে দলের মধ্যেও অসন্তোষ তৈরি হয়। তার কারণ, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও কোনও সঙ্কেত দেননি যে জহরের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারমধ্যে রাজ্যসভার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়ার বিষয়টি অনেকেই ভাল ভাবে নেননি। মনে করা হচ্ছে, সর্বোচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশেই নতুন গ্রুপ তৈরি করে জহরকে ফেরানো হয়েছে।
সাক্ষাৎকারে জহর সরকার বলেছিলেন, টিভিতে দেখা যাচ্ছে মানুষের টাকা লুঠ করে এক মন্ত্রী তাঁর বান্ধবীকে অলঙ্কৃত করছেন। যা দেখে গা শিরশির করছে। তৃণমূলের একটা দিক পচে গিয়েছে। এই পচা শরীর নিয়ে চব্বিশের ভোটে লড়াই করা মুশকিল।
শুধু কি তাই? ওইসব দেখার পর তাঁর সামাজিক সম্মান নিয়েও অনেকে টিকাটিপ্পনি কেটেছেন বলে জানিয়েছিলেন জহর। বলেছিলেন,” “আমার বাড়ির লোকেরা সাথে সাথে বলল তুমি রাজনীতি ছেড়ে দাও। আর বন্ধুরা টিপ্পনি কাটছে, কীরে কত টাকা পেলি?”
পাল্টা সৌগত রায় বলেছিলেন, “এঁরা সব আত্মকেন্দ্রিক। নিজেদের স্বার্থে চলেন। সাংসদ হিসেবে যখনতখন প্লেনে যাবেন, মাসে দু’লক্ষ টাকা বেতন পাবেন, আর পার্টির খারাপ সময় এলেই সরে যাবেন!”
লোকসভার সাংসদ সৌগত দাবি করেছিলেন, দল জহরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। এও বলেছিলেন, ভাল না লাগলে জহর রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছেড়ে দিন। উপনির্বাচন করিয়ে অন্য কাউকে তৃণমূল জিতিয়ে নেবে। যদিও এখনই জহরের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করছে না তৃণমূল। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বাদ দেওয়ার পরেও তাঁকে যুক্ত করা হল নতুন গ্রুপে।
জহর সরকারকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বের করে দিল তৃণমূল, বড় পদক্ষেপের ইঙ্গিত!