
ইতিমধ্যেই শহরের বিভিন্ন তল্লাটে নাকা তল্লাশি শুরু হয়ে গেছে। বাইরে থেকে কলকাতার দিকে আসা সমস্ত গাড়িতে চলছে চিরুণি তল্লাশি। বুথগুলির নিরাপত্তার জন্যেও কড়া ব্যবস্থা করেছে কমিশন।
আগামীকাল মোট ২৩ হাজার ৫০০ পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে কলকাতার জন্য। তাদের মধ্যে কলকাতা পুলিশ থাকবে ১৮ হাজার এবং রাজ্য পুলিশ থাকবে সাড়ে ৫ হাজার। এছাড়াও আরও কিছু পুলিশ ফোর্স রাখা হবে। বড় কোনও ঘটনা ঘটলে তাদের কাজে লাগানো হবে।
কমিশন সূত্রের খবর, কোনও ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে একটি বুথ থাকলে সেখানে থাকবেন এক জন এএসআই, ২ জন সশস্ত্র পুলিশ এবং ১ জন লাঠিধারী পুলিশ। যদি ২টি বুথ থাকে তবে সেখানে থাকবেন ১ জন এসআই, ২ জন সশস্ত্র পুলিশ, ২ জন লাঠিধারী পুলিশ। ৩ টি বুথে থাকবেন ১জন এসআই, ১ জন এএসআই, ২ জন সশস্ত্র পুলিশ, ৩ জন লাঠিধারী পুলিশ। ৪ টি বুথে রাখা হবে ১ জন এসআই, ১ জন এসআই, ৪ জন সশস্ত্র, ৪ জন লাঠিধারী পুলিশ। ৫ টি বুথে থাকবেন ১ জন এসআই, ১ জন এএসআই, ৪ জন সশস্ত্র পুলিশ এবং ৫ জন লাঠিধারী পুলিশ। ৬টি বুথে থাকবেন একজন ইন্সপেক্টর, একজন এসআই, ৪ জন সশস্ত্র ও ৬ জন লাঠিধারী পুলিশ। ৭টি বুথে থাকবেন ১ জন ইন্সপেক্টর, ১ জন এএসআই, ৪ সশস্ত্র ও ৭ লাঠিধারী পুলিশ। ৮টি বুথে থাকবেন ১ জন ইন্সপেক্টর, ২ এএসআই, ৪ সশস্ত্র ও ৮ লাঠিধারী। ৯টি বুথে থাকবেন ১ জন ইন্সপেক্টর, ৩ জন এএসআই, ৪ জন সশস্ত্র এবং ৯ লাঠিধারী। ১০টি বুথে থাকবেন ১ জন ইন্সপেক্টর, ৪ এএসআই, ৪ সশস্ত্র এবং ১০ জন লাঠিধারী।
গতকাল এক প্রকাশ্য সমাবেশে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, একটা ভোটও যদি লুঠ হয় বা ভোটারদের যদি বাধা দেওয়া হয়, তাহলে আমরা রাজভবনে কমিশনে ছুটব। রাস্তা অবরোধ করব। মনে করা হচ্ছে এই সমস্ত আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই কমিশন বাড়তি সতর্ক। কমিশনের সামনেও বিক্ষোভ আশঙ্কায় মজুত রাখা হয়েছে পুলিশ বাহিনী।